চলতি বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সময় আর বাড়ছে না। নির্ধারিত সময় ৩১ জানুয়ারিই (সোমবার) শেষ হচ্ছে মেলার কার্যক্রম। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাণিজ্যমেলার কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। তবে নির্ধারিত সময় ৩১ জানুয়ারিই মেলা শেষ হচ্ছে। মেলার সময় আর বাড়ছে না। শেষদিনে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ছুটির দিনগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, ফলে ব্যবসায়ীরা মোটামুটি লাভবান হয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বাণিজ্যমেলা বন্ধ করা এবং বইমেলার মতো আয়োজন পেছানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে এরপরও বাণিজ্যমেলা কার্যক্রম চলমান ছিল।
এদিকে মেলার শেষ সময় কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা বিক্রেতা। সকালে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভিড়।
দেশি বিদেশি প্রতিটি স্টলেই চলছে নানা অফারের ছড়াছড়ি। মেয়েদের পোশাক, গহনা, গৃহস্থালি পণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় তুলনামূলক বেশি। মেলায় ঘুরতে আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলেন, মেলা যেহেতু শেষ প্রায় তাই শেষ সময় ঘুরতে আসলাম। কিছু কেনাকাটা করতে এসেছি। মেলার জায়গাটি সুন্দর। তবে বেশ দূরে।
মেলার শুরুতে বিক্রি কম থাকলেও শেষের দিকে বেড়েছে। তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে দাবি বিক্রেতাদের। তারা জানান, আগে তেমন ছাড় ছিল না। মেলার শেষ সময় হওয়ায় এখন নানা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যবসা তেমন ভালো হয় নি। আবার খারাপও হয় নি। মোটামুটি ব্যবসা করেছি।
গত ২১ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ছয় দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনায় বলা হয়, বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি মনিটর করবে।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।