বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সেদিন সাংবাদিক ও শিল্পীরা ছাড়া চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের কাউকে এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। চলচ্চিত্রকর্মীদের দাবি, এমনটি করেছেন নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিন।
সেই প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন। ৩০ জানুয়ারি এফডিসিতে এমডির অপসারণ চেয়ে তার কুশপুতুলে আগুন দিয়েছেন সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ও সদস্যরা।
১৭ সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা এই এমডির অপসারণ চান। সেই সঙ্গে এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে অভিনেতা আলমগীরকে দাবি করেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে কিংবদন্তি অভিনেতা আলমগীর সোমবার (৩১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি। তবে আমি মনে করি এফডিসির এমডি হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই৷ এই পদে আসতে চাইলে আরও ৫-৭ বছর আগেই পারতাম।’
সাংবাদিকরা জানতে চান, চলচ্চিত্রের মানুষ ও দেশের অনেক দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাকে এফডিসির এমডি পদে দেখতে চায়। এ বিষয়ে কি বলবেন? জবাবে আলমগীর বলেন, ‘এর আগেও তো চলচ্চিত্রের মানুষেরা এফডিসির এমডি হয়েছে। ওয়াসীমুল বারী রাজীব, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়রা দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা কি এফডিসিকে সোনা দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছিলেন?
আজ দেখুন আমি তাদের সমালোচনা করছি। তিন বছর পর আপনারা আমার সমালোচনা করবেন।’
চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওইদিন আমাদের চলচ্চিত্রের মানুষদের প্রবেশ না করতে দেওয়াটা ছিল অনেক লজ্জার। আমার ৫০ বছরের ক্যারিয়ারে এমনটা হয়নি। তাই আমরা কিছু বিষয় বাছাই করেছি দাবি আকারে। সেগুলো নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। আগামীকাল তিনি আমাদের সঙ্গে বসবেন বলে কথা দিয়েছেন। তার কাছে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরবো।
সেখান থেকে যদি কোনো ভালো ফল আসে তাহলে তো ভালোই। আমরা প্রত্যাশা করছি ভালো কিছুই হবে। যদি আশানুরূপ ফল না পাই তাহলে আমরা পরে কি করবো তা জানাবো।’
আলমগীর জানান, আপাতত শুটিং ও এফডিসির সব কার্যক্রম চলমান থাকবে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।