ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৭ জন যাত্রী মারা যান। ৭২ যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি রাতে লঞ্চটির চার মালিক, মাস্টার ও চালকদের দায়ী করে প্রতিবেদন জমা দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন।
এ ঘটনার জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরের শিপ সার্ভেয়ার মাহবুবুর রহমান এবং ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানকে চিহ্নিত করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা চলাকালে তারা যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান দপ্তরপ্রধানদের এ নির্দেশনা দেন।
এ ছাড়া অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি সদরঘাটে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ চার জাহাজ জরিপকারকের দপ্তর পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিনকে মন্ত্রণালয়ের দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, এ দুর্ঘটনা তদন্তের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে দুর্ঘটনার জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক ও প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রশিদ এবং পরিদর্শক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করে।
মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রায় তিন মাস বসে থাকার পর লঞ্চটি আবার চালু হয়। এ সময় নৌপরিবহন অধিদপ্তরের জাহাজ জরিপকারক ও পরিদর্শক এবং বিআইডব্লিউটিএর পরিদর্শকদের কেউ-ই ভালোভাবে লঞ্চটি পরীক্ষা করেননি।