‘আরচারির স্টেডিয়াম জবরদখল করেছে ফুটবল’

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম নিয়ে ফুটবল ও আরচারির মধ্যে যে টানা-হ্যাঁচড়া চলছে তা নিয়ে কথা বলেছেন স্টেডিয়ামের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে জাতীয় টার্গেটবল প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ফুটবল যেভাবে আরচারির ভেন্যু দখল করেছে সেটা ঠিক হয়নি।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ফুটবল ফেডারেশন ও আরচারি ফেডারেশনের মধ্যে যে ঝামেলাটি তৈরি হয়েছে এটি কিন্তু হওয়ার কথা নয়। গত বছর আমরা যখন ফুটবলকে অনুমোদন দিয়েছিলাম, তখন বলা হয়েছিল যে, আরচারি যেহেতু স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করছে তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে ফুটবলকে ব্যবহার করতে হবে। আরচারি যদি মনে করে ফুটবল স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে পারবে, তাহলে ব্যবহার করবে। না হলে অন্য জায়গায় যেতে হবে। এটা আমাদের লেখা ছিল।

বাফুফে নির্দেশনা মানেনি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবে লেখা ছিল ফুটবল সেটা করেনি। গতবারও করেনি। এবার আমরা দেখলাম তার চেয়েও ভয়াবহ বিষয়। ৭টি ভেন্যুতে ফুটবল খেলার কথা ছিল। সেটা না করে চারটি করলো। পরে আবার কমে কমে দুটি হলো। আমার কথা হলো সারা বাংলাদেশে আমরা যে স্টেডিয়াম করছি সেগুলো তাহলে কাদের জন্য করছি? কারা ব্যবহার করবে? কে খেলবে স্টেডিয়ামগুলোতে?

জাহিদ আহসান রাসেল এমপি আগামীতে ফুটবলকে ভেন্যু প্রদান কঠিন হবে উল্লেখ করে বলেন, আরচারির সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করে এক প্রকার জোরদখল করেই ফুটবল স্টেডিয়াম ব্যবহার করছে। কাজটি সঠিক হয়নি। কারণ, যে কয়টি খেলায় আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ভাল করছি সেগুলোর মধ্যে আরচারি অন্যতম। স্টেডিয়াম দখলকে আমরা ভালোভাবে দেখিনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড হলে তাদের স্টেডিয়াম বরদ্দ দেওয়াই কঠিন হবে। কোন ফেডারেশন স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে চাইলে আরচারির সাথে আলোচনা করে এবং আরচারিকে প্রাধান্য দিয়েই ব্যবহার করতে হবে।

স্টেডিয়ামটি আরচারি ছাড়া অন্য খেলা আয়োজনের জন্য উপযোগি নয় উল্লেখ করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়া এই স্টেডিয়াম ফুটবলের মতো বড় ইভেন্ট বিশেষ করে জাতীয় লিগ করার মতো এবং সকল দলের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মতো অবস্থা এই স্টেডিয়ামের নেই। সে ধরনের ড্রেসিং রুম নেই, সাংবাদিকদের বসার স্থান নেই। স্টেডিয়ামটি আরচারি ব্যবহার করছে বলে এ নিয়ে নতুন করে ভাবিনি। ভবিষ্যতে আমরা অন্যান্য খেলার সুযোগ তৈরি করে দেবো। এখন এখানে আরচারিকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। না হলে আরচারিই স্টেডিয়াম ব্যবহার করবে। ২০ ফেব্রুয়ারির পর এখানে সপ্তাহে একটি করে ফুটবল ম্যাচ হবে।

শেয়ার করুন