বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন ভাতা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একজন বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেনের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৭ ফেব্রয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থসচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহয়তাকারী) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী।
আদালতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ২০ জানুয়ারি একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন ভাতা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন নির্ধারিত বেতন চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করতে বলা হয়। পরে ১ ফেব্রুয়ারি সংশোধন করে আরও একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পরে আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহী জানান, গত ২০ জানুয়ারি এবং পরবর্তীতে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।
সোমবার শুনানি নিয়ে ওই সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য চারজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, রেগুলেটরি অথরিটি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট পলিসিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে। কিন্তু বেতন তো তারা নির্ধারণ করে দিতে পারে না। একেকটা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন বেতন কাঠামো।