লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ঠান্ডায় প্রাণ হারানো সাত বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম দফায় ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পাঠানো হবে দুইজনের মরদেহ। রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর মধ্যে জয় তালুকদারের মরদেহ ১০ ফেব্রুয়ারি তার্কিস বিমান টি-কে ১৮৬৪ করে রোমের লিওনার্দো ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে স্থানী সময় বিকেল ৬টা ৪৫ মিনিটে রওনা হবে। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোর ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে।
অপরজন কামরুল হাসান বাপ্পির মরদেহ নিয়ে একই কোম্পানির বিমান টি-কে ১৮৬২ ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে একই বিমানবন্দর থেকে রওনা হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর ৩টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে রোম দূতাবাস জানিয়েছেন।
বাকি পাঁচজনের মরদেহ পর্যায়ক্রমে খুব শিগগির দেশে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তাদের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়াদের মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান কাজ করেন।
সবশেষে রাষ্ট্রদূত ও কাউন্সিলর (শ্রমকল্যাণ) মো. এরফানুল হকসহ একটি প্রতিনিধি দল সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকায় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
প্রাণ হারানো সাত বাংলাদেশি
মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, পিয়ারপুর গ্রামের জয় তালুকদার, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী, কিশোরগঞ্জে ভৈরব উপজেলার সাইফুল ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ।