প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম সুপারিশের জন্য গঠিত অনুসন্ধান কমিটি (সার্চ কমিটি) দ্বিতীয় বৈঠকে বসেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে মিলিত হন তারা। এর আগে বিকেল ৪টার পর থেকে আসতে থাকেন কমিটির সদস্যরা।
গত রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আজকের পর সার্চ কমিটি আরও দুটি বৈঠক করবে। আগামী শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় এবং রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় মোট মিটিং দুটি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যারা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের নিয়ে কমিটি মিটিংয়ে বসবে এবং তাদের কাছ থেকে সাজেশন্স বা প্রপোজাল থাকলে নেওয়া হবে। এরপর কমিটি সবার বক্তব্য এবং আইন ও অন্যান্য জিনিস দেখে যেভাবে আইনে যোগ্যতার কথা বলা আছে, সেগুলো বিবেচনা এবং আইন অনুযায়ী বাছাই করে পাঁচজনের জন্য প্রত্যেকের বিপরীতে দুজন করে মোট ১০ জনের নাম দেওয়া হবে।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবেন কি না এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বসবো না। তারা ইমেইলের মাধ্যমে নাম দিতে পারবেন। প্রথম বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইমেইলের মাধ্যমে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাম চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করতে সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো।
অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী, এর আগেই নতুন ইসি গঠন করা হবে।