সারাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা আগের দিন ছিল ৪৩ জন। এ ছাড়া একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ১৬ জন। যা আগের দিন ছিল ৯ হাজার ৩৬৯ জন।
একইসঙ্গে আগের দিন নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টায় কমে হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক এবং কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৭১টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫৬টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৫৮টি।
এ সব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য দেশের বিভিন্ন বুথ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৭৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৪টি। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১ কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৯টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৩টি।
কমেছে সংক্রমণ ও শনাক্তের হার
আগের দিন দেশে ৯ হাজার ৩৬৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৮ হাজার ১৬। এ নিয়ে দেশে ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কমেছে। আগের দিন এই হার ছিল ২০ দশমিক ০৩ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা কমেছে। আগের দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ১০ হাজার ৮০০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭২৫ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৫৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৩
আগের দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২৮ হাজার ৭০৩ জনের। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত এই ৩৩ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ, বাকি ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ২৭ জন সরকারি ও ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে ও একজন বাসাতে মারা গেছেন।
দেশে সব বিভাগে মৃত্যু, ঢাকাতে সর্বোচ্চ
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব বিভাগেই করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের মধ্যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকাতেই যা সর্বোচ্চ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন, রাজশাহীতে চারজন, খুলনায় দুইজন, বরিশালে একজন, সিলেটে দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এ ছাড়া ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৬ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দুইজন মারা গেছেন।