বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ এর আগে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না জায়েদ খান বা নিপুণের কেউ।
১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত আসবে কে হবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তার আগেই নাকি আদালতের আদেশ অমান্য করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। সরিয়ে দিয়েছেন আগের মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করা জায়েদ খানের নেমপ্লেট। এই পদে নিজের নামে নেমপ্লেটও বানিয়েছেন।
এফডিসিপাড়াসহ সিনেপ্রেমীদের মাঝে বৃহস্পতিবার থেকেই চলছে এই গুঞ্জন।
তবে এসব গুঞ্জনকে গুজব, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানালেন নিপুণ। আদালত অবমাননার প্রশ্নই উঠে না বলে জানালেন তিনি।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে নিপুণ বললেন, ‘এগুলো মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আদালত অবমাননা করে ক্ষমতায় বসার কোনো কারণ নেই। বৃহস্পতিবার আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সারাদিন ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ কমিটির কেউ হিসেবে নয়। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে গতকাল সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরের জন্মদিন উদযাপন করেছি। কিন্তু একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।’
নিপুণ আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবে তার দিকেই তাকিয়ে আছি।’
নেমপ্লেট বানানোর বিষয়ে নিপুণ বলেন, ‘আমি যেদিন শপথ নেই সেদিনই আমার নেমপ্লেট তৈরি করা হয়েছিল।’
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান।
কিন্তু নিপুণের অভিযোগের ভিত্তিতে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগ। গত শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে নায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।
পরদিনই নিপুণসহ নতুন কমিটি শপথ নেয়। কিন্তু নিজের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান।
নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করে জায়েদের পদ বহাল রাখে হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিপক্ষে আপিল করলে পদটিতে স্থগিতাদেশ দেন আদালত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত হবে কে বসবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে।