রাজনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেন কমিশনে সুযোগ না পায় : আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল
সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ড. আসিফ নজরুল। সংগৃহীত ছবি

রাজনৈতিক সুবিধাপ্রাপ্ত কেউ যেন নির্বাচন কমিশনে সুযোগ না পান সেই বিষয়টি সার্চ কমিটিকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, আমরা সবাই কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সবারই বক্তব্য ছিল, নির্বাচন কমিশনে যারা সুযোগ পাবেন তারা যেন পূর্বে কোনো সরকারের আমলে বিশেষ সুবিধাভোগী না হন।

universel cardiac hospital

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত সার্চ কমিটির সঙ্গে বিশিষ্ট নাগরিকদের বৈঠক শেষে আসিফ নজরুল এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে শতভাগ আস্থা রাখতে পারি না। তবে আমরা বলেছি, যে ১০ জনকে নির্বাচন কমিশনার বানানো হবে তাদের নাম যেন আগেই ঘোষণা করা হয়। তারপর হয়তো আস্থা-অনাস্থার বিষয় আসবে।

এর আগে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের সেমিনার কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ২০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত হন ১৪ জন।

বৈঠকে উপস্থিত ১৪ জন হলেন—আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সুনসুরুল হক চৌধুরী, এম কে রহমান, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। নবগঠিত সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে।

শেয়ার করুন