চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়ে ১৭ সংগঠনের তোপের মুখে রয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। সাধারণ সম্পাদক পদে জিতেও তিনি সমিতির চেয়ারে বসতে পারেননি। বাতিল করা হয়েছে তার প্রার্থিতা। তারই মধ্যে এবার এই অভিনেতার বিরুদ্ধে উঠল হিন্দুদের জমি ও ক্লিনিক দখলের অভিযোগ।
আজ রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ জানান পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গীতা রানী মজুমদার। তিনি দাবি করেন, ‘অন্তর জ্বালা’ নামে একটি সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে পিরোজপুর সদরে হিন্দুদের জমি দখল করেন জায়েদ খান।
শুধু তাই নয়, ৪০ শয্যাবিশিষ্ট একটি ক্লিনিকও অভিনেতা দখল করে নিয়েছেন বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেছেন গীতা রানী মজুমদার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তারা এও জানান, এই কাজে জায়েদ খানের দুই ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু এবং শহীদুল হক মিন্টুও জড়িত।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগকারীরা জানান, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত দুইটার সময় পাঁচ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় জায়েদ খান ও তার সঙ্গের কিছু অস্ত্রধারী লোক গীতা রানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা জোর করে টাকা পয়সা ও ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যান। এসময় তারা গীতা রানীদের মারধর করেন এবং তার স্বামীকে পিটিয়ে ঝিনাইদাহ জেলার রেললাইনের ওপর ফেলে রাখেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ গীতা রানী একটি এজাহার দায়ের করেছিলেন। এরপর থেকেই জায়েদ খান তাকে এবং তার পরিবারকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এছাড়া ওই পাঁচতলা বাড়িটির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। বর্তমানে তারা সে বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে মহামান্য হাইকোর্ট আমাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে আমরা ঢাকায় অবস্থান করছি, তবে আমাদের পিরোজপুরের বাসার সব মালামাল জায়েদ খান ও তার লোকেরা লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে গত ৬ জুন, ২০১৮ সালে দায়ের করা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। মামলা নং ০৯, ১৮৫/১৮। আমরা ভুক্তভোগী পরিবার ভূমিদস্যু জায়েদ খান ও তার গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে জায়েদ খানের মোবাইলে বারবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল জায়েদ খান অভিনীত ‘অন্তর্জালা’। শুটিং হয়েছিল তার আগের বছর। ছবিটি পরিচালনা করেন মালেক আফসারী। সেখানে জায়েদ খানের নায়িকা ছিলেন পরীমনি। এই ছবির শুটিং চলাকালীনই পিরোজপুরে হিন্দুদের জমি ও ক্লিনিক জায়েদ খান ও তার ভাইয়েরা দখল করেন বলে অভিযোগ।