‘বাংলাদেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র চায় যুক্তরাজ্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ‘স্বচ্ছ গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা হবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।

রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রত্যাশার কথা জানান।

যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উপলক্ষে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু এবং সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সবাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য চায় বাংলাদেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।

ডিকসন বলেন, বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্যও স্বচ্ছ গণতন্ত্র ও অবাধ, ভয়মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন প্রত্যাশিত। কারণ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশের নিশ্চয়তা দেয়, যা বিনিয়োগের জন্য সহায়ক।

মানবাধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন আছে, এটা যেমন ঠিক তেমনি এ নিয়ে আরও আলাপ আলোচনার অবকাশ রয়েছে। ১৯৭২ সংবিধান অনুসারে মানবাধিকার রক্ষা স্পষ্ট করা হয়েছিল। এটা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটা সব দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ বাস্তবতা হলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের আন্তরিকতা থাকতে হবে, যাতে ন্যায়বিচার পায় সাধারণ মানুষ।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সব সময়ই উদ্বেগের বিষয়। মানুষের গণতান্ত্রিক চর্চার উন্মুক্ত পরিবেশ দরকার। এটা দিতে হবে। এমনকি নির্বাচন যাতে ভয়মুক্ত পরিবেশে হতে পারে, এটাই প্রত্যাশা করে যুক্তরাজ্য।

রোহিঙ্গা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসন জরুরি। কিন্তু এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও বেশি দায়িত্ব রয়েছে। শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর পরিবেশ তৈরি না হওয়া হতাশাজনক। আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্য নিবিড়ভাবে কাজ করে চলছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপ জরুরি। বাণিজ্যের আকর্ষণীয় স্থান ঠিকই কিন্তু, মানবতা তার আগে।

শেয়ার করুন