‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার’ নিয়োগের জন্য দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে গঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটির (সার্চ কমিটি) কাছে ৩২২ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবকৃত নামগুলোর তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সার্চ কমিটির এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। কেননা এর আগে রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে ২০১২ ও ২০১৭ সালে গঠিত সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাবকৃত নাম গোপন থাকায় দেশবাসী জানতে পারতেন না, তারা কারা? এতে একধরনের অস্পষ্টতা থেকেই যেতো।
বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করলেও এ সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই, বিগত ৫০ বছরেও দেশে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না পাওয়ায় সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচন কমিশনও গঠন করা যায়নি। এর ফলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও যে কোনো সংকটে অধিকাংশ জনগণ নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থাশীল হতে পারেননি; বরং বিগত দিনগুলোয় প্রতিষ্ঠানটির কার্যকলাপ জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এমতাবস্থায় আমরা আশা করব, নতুন আইনের অধীনে গঠিত প্রথম সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনার পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে এমন ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে; যারা হবেন- দক্ষ, দল নিরপেক্ষ, সত্যিকারে দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক ।