মুক্তিযুদ্ধে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপহমাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়রি) রাতে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপমহাদেশে গানের মুগ্ধতা ছড়ানোর পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। এদিন সকালে মেডিকেল বুলেটিনে জানানো হয়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাঁর রক্তচাপ অনেকটাই কমে গিয়েছে।

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর কলকাতার ঢাকুরিয়ায় রেল কর্মকর্তা নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ও হেমপ্রভা দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় ভাইবোনে মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিলেন।

শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে চলচ্চিত্রের গান এবং আধুনিক গানের অ্যালবাম মিলিয়ে তাঁর কাজের পরিধি অনেক। ১২ বছর বয়স থেকে তিনি গান গেয়েছেন। সংগীতের পেছনে জীবনের ৭৫টি বছর ব্যয় করেছেন। গানে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি বহু বছর ধরে বাঙালির মনজুড়ে আছে। একসময় সুচিত্রা সেনের কণ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ‘এ শুধু গানের দিন, এ লগন গান শোনাবার’, ‘মধুমালতি’, ‘হয়তো কিছুই নাহি পাব’, ‘তুমি না হয়’, ‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে’, ‘যমুনা কিনারে’সহ অনেক কালজয়ী গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ পান ভারতীয় এই সংগীতশিল্পী ও বাংলা সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ। ১৯৭০ সালে জয়জয়ন্তী ও নিশিপদ্ম চলচ্চিত্রে তার গানের জন্য সেরা নেপথ্য গায়িকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। চলতি বছর পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাখান করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।

শেয়ার করুন