নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ব্যবস্থা করেছিলেন। ইদানীং সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রয়াস চলছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সময় শেষ হয়েছে গতকাল ভালোবাসা দিবসে। অথচ নতুন কমিশন এখনো গঠিত হয়নি। তাই পুরান কমিশন ব্যর্থতায় বিশ্বরেকর্ড সৃষ্টিকারী বেহুদা কমিশন আর কদিন থাকবে, এ সময় তাদের কাজকর্মই বা কী হবে এসব প্রশ্ন সবার মুখে মুখে। ১৩ ফেব্রুয়ারি হোটেল সোনারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তারাই সভাপতি, তারাই অতিথি। শুধু প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। আমি আমার জীবনে এ রকম বোধহীন বিবেকহীন মানুষ দেখিনি, তাই অনুষ্ঠানটিতে যেতে ইচ্ছা করেনি। সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চলছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমে যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করেন তাহলে আমাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের আলোচনা মোটেই ঠিক হয়নি। সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা করলেই ভালো হতো। সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন গঠনই যদি করবেন তাহলে আমাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন নিয়ে আলোচনা কেন? বাংলাদেশ সত্যিই অনেকটা বিপদে পড়েছে। পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম গাড়ির আগে ঘোড়া জোড়া। কিন্তু এখানে অনেক ক্ষেত্রেই ঘোড়ার আগে গাড়ি জোড়া হয়। যাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংলাপে নিবন্ধিত বেশ কিছু দলও অংশগ্রহণ করেনি। তাদের কথা, যা হওয়ার তা-ই হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে শুধু সময় নষ্ট করা। বিরোধীদের এ কথা একেবারে অসত্য তা-ও নয়। সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, রাজনৈতিক দল অনেকেই মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সার্চ কমিটি গঠনে বারণ করেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন যা ৫০ বছরে হয়নি তা এক ফুৎকারে পাস হয়ে গেছে। আইনটিতে অনেক ত্রুটি আছে।
দেশের হাটে ঘাটে মাঠে সব জায়গায় এখন আলোচনা, নির্বাচন কমিশন গঠন। সার্চ কমিটি নিয়ে প্রধান বিরোধী দল একেবারেই নাখোশ। তাদের নাখোশ হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, তারা সার্চ কমিটি মানে না। তাদের দ্বারা প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশনও মানবে না। এ কথা এক অর্থে সঠিক ও অর্থবহ হতে পারে যদি জনগণের সমর্থন থাকে। জনগণের সমর্থন না থাকলে তাদের মানলেই কি আর না মানলেই কি। দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের চেয়ে প্রধান বিরোধী দলকেই বেশি দায়ী করব। প্রধান বিরোধী দল মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষের প্রতি বিশ্বাস শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নেই। যখন যেমন তখন তেমন তাদের আচরণে সাধারণ মানুষ খুশি নয়। অন্যান্য বিরোধী দলকে আস্থায় আনতে পারছে না। প্রধান বিরোধী দল হাওয়া ভবনের কারণে প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের প্রতি অনাস্থার কারণে অন্যান্য বিরোধী দল সাধারণ মানুষের পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারছে না। এ রকম একটি অবস্থায় সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হতে যাচ্ছে। আমার যত দূর মনে হয় মার্চের প্রথম সপ্তাহের আগে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে না। সার্চ কমিটি নিয়ে বিএনপির আপত্তি রয়েছে। আপত্তির প্রধান কারণ সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থক। একটু তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে একসময় এ দেশের শতকরা ৭০-৮০ ভাগ মানুষ ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থক। ১৯৭০- এর নির্বাচন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বঙ্গবন্ধুর পেছনে সারিবদ্ধ হয়েছিল। বর্তমান সার্চ কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেত্রকোনার সাবেক এমপি আখলাকুল হোসাইনের ছেলে। বাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার ছয়াশি গ্রামে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের বাবা একজন ভালো মানুষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। মোহনগঞ্জ থেকে সীমান্তের মহাদেও, রংরা ১০-১৫ কিলোমিটার। নেত্রকোনার সংসদ সদস্য তারা ভাই, আখলাক ভাই, ফজলু মোক্তার আরও বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা ’৭৫-এর প্রতিরোধ যুদ্ধকে মনেপ্রাণে সমর্থন করেছিলেন। আখলাকুল হোসাইন বেশ কয়েকবার আমার সঙ্গে দেখা করে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তখনকার দিনের নেতারা ছিলেন আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ। সবকিছু দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধ-প্রতিবাদ করেছিলেন। খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমেন ভাইয়ের মৃত্যুর চার-পাঁচ দিন পর তাঁর কবর জিয়ারতে মোহনগঞ্জে গিয়েছিলাম। রেললাইনের পাশেই মোমেন ভাইয়ের বাড়ি। সে সময় আখলাক ভাইয়ের বাড়িতেও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বেশ গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় সেদিন আর যাওয়া হয়নি। পরে একবার মোহনগঞ্জ থেকে ধর্মপাশা যাওয়ার পথে আখলাক ভাইয়ের বাড়ি দেখে এসেছিলাম। এলাকায় খুবই সম্মানী ও সৎ মানুষ হিসেবে নাম ছিল। দুর্নীতি কখনো তাঁকে স্পর্শ করেনি। তাঁর ছেলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। লেখালেখিও করেন। তিনি যে বঙ্গবন্ধুকে সমর্থন করবেন এটাই স্বাভাবিক। যে কজন সার্চ কমিটিতে নেওয়া হয়েছে তাঁরা সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুরক্ত-ভক্ত। জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ভক্তদের যে নেওয়া হবে না এটাই স্বাভাবিক। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের সবচাইতে যোগ্য ভালো মানুষকেও কোনো কাজে নিত না।
মুক্তিযুদ্ধের সময় একদল ছিল পক্ষে, আরেকদল বিপক্ষে। আমরা এখনো সেখানেই পড়ে আছি। বরং আরও পিছিয়ে গেছি। এখন আওয়ামী লীগ আর বিএনপি ছাড়া লোক কই? কিছুদিনের মধ্যে হয়তো মসজিদ-মন্দির-শ্মশান-কবরস্থান ভাগ করতে হবে। তাই এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভাবাপন্ন হবে না এ রকম বিবেকবান লোক কোথায় পাব? যারা সৃষ্টিকে ভয় করে, আল্লাহকে ভয় করে, নিজের সন্তান-সন্ততিদের হারাম খাওয়াতে চায় না, চোখের সামনে জেনে শুনে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতো করবে না সে রকম একটু সাহসী বিবেকবান লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেই যথেষ্ট।
শোনা যাচ্ছে আদালত অবমাননার দায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নামে মামলা হবে। সময় শেষ হোক দেখা যাবে নির্বাচন কমিশনারদের কী হয়। আমার কখনো মনে হয়নি, এখনো হয় না চুরি-চামারি করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে দেন। আমি কখনো বিশ্বাস করতে পারব না, করবও না যে চুরি-চামারি করে ২৯২ সিট সরকারি দলের দরকার। বর্তমানে ১৪০-১৪৫ জন বিরোধী দলের সদস্য থাকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো ক্ষতি হতো না, বরং ভালোই হতো। ’৭৩ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯১ আসনে জয়ী হয়েছিল। খন্দকার মোশতাক ভোট চুরি করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে জয়ী হয়েছিলেন। অমনটা না করলেই পারতেন। ’৭৩-এর নির্বাচনে শতাধিক যোগ্য মানুষ পার্লামেন্টে এলে আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারত না, সংসদ বাতিল হতো না। বিরোধী দলের জ্ঞানী-গুণী লোকেরাই সংসদ টিকিয়ে রাখতেন। সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে পোঁ ধরাদের-চাটুকারদের রমরমা থাকত না। যোগ্যতা না থাকলে সংসদে সরকারি দলের সদস্যদের যে পরিমাণ নাকানি-চুবানি খেতে হতো রাজনীতির শখ দু-এক বছরেই মিটে যেত। সামনে একটি ভালো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন বিরোধী দলের চাইতে সরকারি দল বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনারই বেশি প্রয়োজন।
এটা সত্য, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের পছন্দের লোকেরা রাষ্ট্রের নানা সুযোগ পাবে, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে বিএনপির পছন্দের লোকেরা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবে। এর বাইরে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ থেকে নিরপেক্ষ বা যোগ্য লোক এনে কোনো কিছু করা যাবে না। যা করার এর মধ্যে থেকেই করতে হবে। তাই মেরুদন্ডহীন নির্বোধ একেবারে অযোগ্যদের দিয়ে পোঁ ধরা নির্বাচন কমিশন গঠন না করে একটু বিবেকবান যোগ্য সাহসী লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করাই ভালো। শুধু বিরোধী দলের সুবিধার জন্য নয়, সরকারি দলের মানমর্যাদার স্বার্থে তা দরকার। বিশেষ করে দেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের সাধনা সরকারি প্রভাবমুক্ত অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নসাধ পূরণের জন্য হলেও একটি যথাযথ কর্মক্ষম নির্বাচন কমিশন গঠন খুবই প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হলেও এখনো বহু যোগ্য বিবেকবান মানুষ দেশে আছে। তাই সে রকম যোগ্যতাসম্পন্ন মুক্তমনা মানুষদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলে সেটা যেমন দেশের জন্য ভালো হবে তেমনি বর্তমান সরকার এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যও মঙ্গল।
এমনিতেই আমেরিকার বিধিনিষেধে আমাদের দেশের সম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। মুখে যে যা-ই বলুন, র্যাব এবং অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে তাতে আমাদের কমবেশি কিছুটা ক্ষতি অবশ্যই হয়েছে। লবিস্ট নিয়োগ দেশের বিরুদ্ধে কার্যকলাপ এবং অন্য ব্যাপারে যে নেতা যা-ই বলুন লবিস্ট নিয়োগ সবাই করে। লবিস্ট এক কথায় যাকে এজেন্ট অথবা দালাল বলা চলে। হাট-বাজারে পাট কেনাবেচা, গরু-ছাগল কেনাবেচার দালাল থাকে। সেদিন আমার এক কর্মী এসেছিল। সে একজনকে একটা বাড়ি কিনে দিয়েছে। বাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য তাকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দালালি দেওয়ার কথা। এখন বিক্রেতা তাকে সে টাকা দিচ্ছে না। খুব কষ্ট নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি এ রকম কাজ খুব একটা করি না। কিন্তু তার কথা শুনে বেশ কিছুক্ষণ পর মনে হয়েছিল সত্যিই তো, এখন সবকিছুতেই কমিশন। তাহলে সে পাবে না কেন। তাই যেখানে যেখানে বলা দরকার এমনকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদেরও বলেছিলাম। কতটা কি হয়েছে এখনো জানি না। কিন্তু কিছু একটা যে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যবহার দেশের ভিতরে আপনজনদের সঙ্গে সম্মানজনক ও হৃদয়গ্রাহী না হলেও বিদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে যারা যেখানেই গেছে তারা ভালো ব্যবহার করে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছে। বাইরে যদি দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে তাহলে দেশে কেন পারবে না। সামান্য একটু যত্ন নিলেই আমাদের সন্তানরা খুব সহজেই আমাদের সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করতে শিখবে।
এ সময় হঠাৎই বেগম খালেদা জিয়ার নামে এত প্রশংসা কেন বুঝতে পারছি না। মাদার অব ডেমোক্র্যাসি কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের পুরস্কার কতটা অর্থবহ আর প্রতিষ্ঠানই বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ কিছুই জানি না। একবার শুনেছিলাম লন্ডনে এক প্রতিষ্ঠিত লোক ডক্টরেট ডিগ্রি নিতে গিয়েছিল। এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে কদিন পর তার মনে হয়েছিল তার একটি প্রিয় ঘোড়া ছাড়া যখন আর কিছু নেই, তখন ঘোড়াটিকে একটা ডক্টরেট ডিগ্রি দিলে কেমন হয়। তার আর কোনো উত্তরাধিকার নেই তাই শুধু সে একা ডক্টর হবে কেন, তার ঘোড়াটাকেও একটা ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া দরকার। ডিগ্রি প্রদানকারী সংস্থাকে ডিগ্রি দিতে বললে তারা বলল, আমরা ঘোড়াকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে পারব না। এখানে শুধু গাধাকেই ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়, ঘোড়াকে নয়। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নামেও এ রকম অর্থহীন ডিগ্রি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না জানি না। এমনিতেই বেগম খালেদা জিয়ার যথেষ্ট মানসম্মান আছে। তাঁর লোকেরা তাঁকে ভালোবাসে। তাই নতুন করে নারী মুক্তিযোদ্ধা বানানো, গণতন্ত্রের মা বানানো এসবে তাঁর সম্মান এবং ভাবমূর্তি বৃদ্ধি না হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁর চিকিৎসা নিয়েও যদি ছলনা করা হয় তাহলে তাঁরই ক্ষতি হবে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাঁকে গুলশানের বাড়িতে থাকতে দেওয়া এটা তাঁর অধিকার নয়, এটা তাঁর প্রতি সরকারের অনুকম্পা। বিষয়টা পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে।
লেখক : রাজনীতিক।