টানা কয়েক সপ্তাহের উত্তেজনার মধ্যে হঠাৎই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার কিছু সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার খবর জানা যায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। তবে ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্টের হামলার বিষয়ে এখনো সতর্ক অবস্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চালানোর শঙ্কা এখনো রয়েছে। মস্কোর সৈন্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টির ভাল সমাধান হতে পারে।
জো বাইডেন আরও বলেন, রাশিয়ার নাগরিকরা তাদের শত্রু নন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে তারাও রক্তপাত চান না, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চান না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালে কঠোর মূল্য দিতে হবে মস্কোকে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা দেয় যে, ইউক্রেন সীমান্ত এলাকায় কিছু রুশ সেনার মহড়া শেষ হয়েছে। তাই তাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এতে আরও বলা হয় প্রশিক্ষণের জন্য এখনো একটি বড় অংশ সেখানে রয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, তারা বারবার বলে আসছেন যে, প্রশিক্ষণ শেষ হলে সৈন্যরা তাদের স্থায়ী ঘাঁটিতে ফিরে আসবেন। এটা নতুন কিছু নয়, সাধারণ ব্যাপার।
যদিও গত শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে দাবি করা হয়েছিল, মঙ্গলবারের মধ্যেই ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে রুশ সেনারা। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানও চলতি সপ্তাহ বলেন, তাদের সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের হিসাব মোতাবেক, রাশিয়ার বিশাল সামরিক অভিযান যেকোনো দিন শুরু হতে পারে। আর তা শীতকালীন অলিম্পিক শেষ হওয়ার আগেই ঘটবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে