বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সুনিল নারিনের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগামী শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইমরুল কায়েস বাহিনী।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৪৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। তাতে খেলায় কোনো প্রভাব পড়তে দেননি আরেক ওপেনার সুনিল নারিন। ওই ওভারের শেষ পাঁচ বলেই তুলে নেন ২০ রান।
রানের চাকা আর থামেনি ইমরুল কায়েসদের। সুনিল নারিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই ৮৯ রান তুলে কুমিল্লা। এদিকে মাত্র ১৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে রীতিমতো রেকর্ড গড়েন নারিন। এটি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত অর্ধশতক রানের ইনিংস। নারিন ১৬ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর ২২ রানে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল কায়েস।
তিন উইকেট হারানোর পর মঈন আলি এবং ফাফ ডু প্লেসিস মিলে দলকে জয় উপহার দিয়েই মাঠ ছাড়েন। এ সময় দুজন মিলে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ৫৪ রানের জুটি। দুজনই ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই ছিল চ্যালেঞ্জার্সের। কিন্তু ঝড়ো সূচনার পর দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার উইল জ্যাক। ৯ বল খেলে করেন ১৬ রান।
এরপর পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ম্যাচের এক পর্যায়ে ৫০ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। ২০ রানে জাকির, ২ রানে ওয়ালটন, ১০ রানে আফিফ এবং শূন্যরানে ফেরেন শামীম।
এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মেহেদি হাসান মিরাজ এবং আকবর আলির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় স্কোরটা বড় হতে থাকে। ৩৩ রানে আউট হন আকবর। আর মেহেদি মিরাজ আউট হওয়ার আগে করেন ৪৪ রান। এছাড়া বেনি হাওয়েল ৩, মৃত্যুঞ্জয় ১৫ এবং নাসুম আহমেদ শূন্যরানে আউট হন। আর শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তুলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।