বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ছয় দিনব্যাপী যৌথ বিমান মহড়া ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এবং জাপানের ইয়োকোটা সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ৩৭৪তম এয়ারলিফট উইং যৌথ এ মহড়ায় অংশ নেবে।
প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের স্পন্সরে অনুষ্ঠেয় এই দ্বিপক্ষীয় টেকটিক্যাল এয়ারলিফট মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোপ সাউথ ২২’। কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্ট ঢাকা এবং অপারেটিং লোকেশন আলফা, সিলেট বাংলাদেশে এ যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
প্রায় ৭৭ জন মার্কিন এয়ারম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম এয়ারলিফট স্কোয়াড্রন থেকে দুটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস বিমান নিয়ে মহড়ায় অংশ নেবে। প্যাসিফিক এয়ারফোর্সের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ঘোষণায় এ কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, দুটি সি-১৩০জেএস নিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর প্রায় ৩০০ জন মহড়ায় অংশ নেবেন।
আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সঙ্গে আন্তঃকার্যক্ষমতার উন্নয়ন এবং বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি আধুনিকায়নে সমর্থনদান মহড়ার লক্ষ্য বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে। এই মহড়ায় এয়ারক্রাফট উৎপাদন ও পুনরুদ্ধার, দিনের বেলায় লো-লেভেল নেভিগেশন, টেকটিক্যাল এয়ারড্রপ এবং এয়ার ল্যান্ড মিশন, বিষয়বস্তুর আলোকে বিশেষজ্ঞ বিনিময়, রক্ষণাবেক্ষণ এবং খননকার্য অন্তর্ভুক্ত।
৩৬ এয়ারলিফট স্কোয়াড্রন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কিরা কফি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার। কোপ সাউথ টেকটিক্যাল এয়ারলিফট সর্টিস এবং বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ বিনিময় আমাদের অংশীদারত্বকে আরও জোরদার করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে ১২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার কোভিড-১৯ বিষয়ক সহায়তা দিয়েছে। মহামারি শুরুর পর এ বছরের কোপ সাউথ প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলো এবং বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা কঠিনভাবে পালন করা হবে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কফি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ পরিস্থিতিতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার বিষয় আরও বিস্তৃত ও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ২০১৯ সালের ১১ জুন দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, দুই সরকার নিরাপত্তা, উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা এবং দুর্যোগ ত্রাণ, সন্ত্রাস দমন প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবিড় অংশীদারত্ব জোরদার করার বিষয়ে বদ্ধপরিকর।
উভয় সরকারই অবাধ ও উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিকের অভিন্ন লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে নিবিড় সহযোগিতা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে।