চট্টগ্রামে বিতর্কিত দুদক কর্মকর্তা শরীফকে অপসারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে চাকরি থেকে অপসারিত হয়েছেন চট্টগ্রামে থাকাকালে নানা-অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বিতর্কিত ও সমালোচিত হওয়া দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন । বুধবার তাকে অপসারণ করা হয় বলে দুদক প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত একপত্রে বলা হয়েছে- দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকির বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ৫৪ (২)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মো. শরীফ উদ্দিন, উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ পটুয়াখালীকে চাকরি হতে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন।

universel cardiac hospital

বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের (পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান শরফীকে চাকরি থেকে অপসারণ সংক্রান্ত পত্র জারি করেন।

সূত্র অভিযোগ করেছে, দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এ কর্মরত থাকাকালে বিভিন্ন মামলা তদন্ত করতে গিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে নিজেই জড়িয়ে পড়েন শরীফ। এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও নির্যাতন, ব্যবসায়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা, সিআইপি মর্যাদা প্রাপ্ত ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানি ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার ব্যবসায়ীরা হলেন- সিআইপি খেতাবপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ইদ্রিচ ও মোহাম্মদ বেলাল। এই দুই ব্যবসায়ী হয়রানি নির্যাতনের বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে যান। উচ্চ আদালতও শরীফ এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন বলে তিরস্কার করেন।

অভিযোগ তদন্ত করে জানানোর জন্য দুদককে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পেয়ে শরীফের বিরুদ্ধে আনীত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক প্রধান কার্যালয়।

এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বদলি করার পর জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ব্যক্তির নামে উচ্চ আদালতে বদলি ঠেকাতে রিট দায়ের করার অভিযোগ আছে শরীফের বিরুদ্ধে। কক্সবাজারে সার্ভেয়ারের বাসা থেকে র্যা বের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ঘুষের ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বুঝে নেওয়ার পর প্রায় দেড় বছরেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে শরীফ নিজের কাছে রেখে দেন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাসের কয়েকটি আবাসিক সংযোগ অবৈধভাবে দেওয়ার অভিযোগে বিনা কারণে সাবেক এক মন্ত্রীপুত্রকে মামলার আসামি করেন তিনি।

শেয়ার করুন