সুশাসনের জন্য নাগরিক তথা সুজন একটি ব্যক্তিবিশেষ এনজিও বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তহবিল সংগ্রহ করে চলা এই সংগঠন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে এত দাদাগিরি কেন করে সেই প্রশ্নও তুলেছেন মন্ত্রী।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সুজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, সুজন কারা? সুজন একটি এনজিও। সারা দেশে তাদের কোনো শাখাও নেই, প্রশাখাও নেই। এটা ব্যক্তিবিশেষ একটি এনজিও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করে চলে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও তারা একসময় তহবিল নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটির কাছে কারা কোন ব্যক্তিদের নাম জমা দিয়েছেন সে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছে সুজন। সংগঠনটির সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করলে তা স্বচ্ছতা পায় না। সার্চ কমিটির কার্যপদ্ধতি এবং কী মানদণ্ডে তারা প্রস্তাবিত মানুষগুলোর সুনাম যাচাই করবেন, তা জানানো দরকার।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সুজনের নানা পরামর্শের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচন করে না, করবেও না। তারা যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে, তাদের এত দাদাগিরি কেন? আর গণমাধ্যমেও সেটি ফলাও করে প্রকাশ করা হয় কেন, সেটিও আমার প্রশ্ন।
- আরও পড়ুন >> বিজিবির নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ
স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ও অংশগ্রহণমূলকভাবে এবার আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইসি গঠনে সার্চ কমিটি সবার সঙ্গে বসেছে। সাংবাদিক, সুজন, যারা টক শো করেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বসা হয়েছে। তারা সবাই মত দিয়েছেন। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সেখানে গেছেন।
সার্চ কমিটি আইনের ক্ষমতাবলে প্রস্তাবিত নামগুলো থেকে ১০ জনের সিলেক্ট করবেন উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সার্চ কমিটি সেই ১০ জনের নাম প্রকাশ করবে কি করবে না সেটা তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে সুজন কে বলার? সুজন কি নির্বাচন করে? সুজন কি স্টেকহোল্ডার? তা তো নয়।
মতবিনিময়ে তথ্যমন্ত্রী জানান, ভুইফোঁড় ১০০ পত্রিকার ডিক্লিয়ারেশন বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি ৪০টি চ্যানেল সম্প্রচারে রয়েছে। এছাড়া দেশে দৈনিক পত্রিকা প্রায় সাড়ে ১২০০।