অন্যান্য বছরের মতো এবারও ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে এক মিনিট অন্ধকারে (ব্ল্যাক আউট) থাকবে সারাদেশ। ওইদিন রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সভা আয়োজিত হয়।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাঙালিদের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর কালরাতের প্রথম প্রহর স্মরণ করে আলো নিভিয়ে প্রতীকী ব্ল্যাক আউটের এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এটি ২০১৮ সালে প্রথম চালু করে সরকার।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তে বলা হয়, ২৫ মার্চ রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত এপিআই বা জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে এক মিনিট প্রতীকী ব্ল্যাকআউট থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, গণযোগাযোগ অধিদফতর, সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সব উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় গণহত্যার ভয়াবহতায় চিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়া গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী হবে।
ওই দিন সারাদেশে ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত/দোয়া বা প্রার্থনা হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলে কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।