জনগণকে বোকা বানিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায় আওয়ামী লীগ : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন করে জনগণকে বোকা বানিয়ে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচন কমিশন গঠনে যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে, তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। এ কমিটি দিয়ে কমিশন গঠন করে জনগণকে বোকা বানিয়ে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়।’

universel cardiac hospital

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ‘স্মৃতির অ্যালবাম’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে দুর্নীতি এখন ক্যানসার ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘দেশে ভয়াবহভাবে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে, যার নেতৃত্বে সরকার। কয়েকদিন আগে মন্ত্রীসহ দুজনের কথোপকথনের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানেও দুর্নীতির কথা বেরিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা দুর্নীতি করছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যারা কাজ করছেন, তারাও দুর্নীতি করছেন। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না।’

আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আজকে গণতন্ত্রকে পুরোপুরি নির্বাসিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা সবসময় গণতন্ত্রকে ধ্বংসের জন্য কাজ করে। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতা এসেছে, ততবারই গণতন্ত্রকে ধ্বংসের জন্য কাজ করেছে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজকে এ সরকার আমাদের সব অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লড়াই করে আমাদের যে অর্জন স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র, সবকিছুই তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন