রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও দুজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় মারা গেছেন একজন। তিনি পাবনা জেলার বাসিন্দা। অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে করোনার উপসর্গ নিয়ে। তিনি নাটোর জেলার বাসিন্দা।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের ২৯/৩০ নং ওয়ার্ডে তারা মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা সংক্রমণে একজন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন রোগী মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন নারী এবং একজন পুরুষ। দুজনেরই বয়স ৬১ বছরের ওপরে। করোনা ইউনিটের ২৯/৩০ নং ওয়ার্ডে তারা ভর্তি ছিলেন।
এদিকে ১০৪ শয্যার রামেক করোনা ইউনিটে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৩ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৪০ জন। হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ২১ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ৫ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। এই এক দিনে সুস্থ হয়ে কোনো রোগী হাসপাতাল ছেড়ে যাননি।
বর্তমানে রাজশাহীর ১৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ জন, নওগাঁর ৮ জন, নাটোরের ৬ জন, পাবনার ২ জন, চুয়াডাঙ্গার একজন, ঝিনাইদহের একজন এবং জয়পুরহাটের একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়নি। তবে একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮টিতে করোনা ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর ৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েছে ৪টিতে। পরীক্ষার অনুপাতে জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এছাড়া জয়পুরহাটের ৯১টি নমুনা পরীক্ষায় ১১টিতে এবং নাটোরের ১৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৩টিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার অনুপাতে জয়পুরহাটে ১১ দশমিক ০৯ এবং নাটোরে ১৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ করোনা শনাক্ত হয়েছে।