মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে র্যাব ও এর বর্তমান-সাবেক ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে। চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এই কথা জানান।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে তলব করে সরকারের অবস্থান জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠিও দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি আইনি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের হয়ে কথা বলার জন্য, মামলা লড়ার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে। চূড়ান্তভাবে আইনি পদক্ষেপের দিকে যাব কি না, সেটা এখনই বলব না। তবে আমরা তিনটি আইনি পরামর্শক সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে সবচেয়ে ভালো পরামর্শটি নিয়ে এ সপ্তাহে একটা সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক রয়েছে। সেখানেও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে ভারত বা অন্য কোনো তৃতীয় দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই বলে মনে করে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নিজেই যথেষ্ট।
এ সময় তিনি জানান, বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে যেন কেউ অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্যও কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।