করপোরেট কর কমিয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে অটোমেশনে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তারা।
আজ বুধবার সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় করব্যবস্থা সংস্কারে বিভিন্ন পরামর্শ দেন তারা।
আলোচনায় অংশ নেয় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট (পিআরআই), সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), প্রাইস ওয়াটার হাউজকুপারস (পিডব্লিউসি)। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর সদস্য (কাস্টমস নীতি) মাসুদ সাদিক।
পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের করপোরেট কর হার প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। এটি কমিয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বর্তমানে দেশের করপোরেট কর হার ৩০ শতাংশ। আর শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। অথচ চীন, ভারত ভিয়েতনামসহ আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর করপোরেট কর হার ক্ষেত্রবিশেষ ১৫ শতাংশেরও নিচে। তাই ব্যবসায়ীদের কর কমানোর দাবি যৌক্তিক।
পিডব্লিউসির ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ বলেন, আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থার কাছ থেকে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ হারে কর নেওয়া হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসার উৎসাহ পান না। এই কর কমানো উচিত।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, পরোক্ষ করের (ভ্যাট) বোঝা দরিদ্র, প্রান্তিক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এতে তা দারিদ্র্য-বৈষম্য হ্রাস না করে উল্টো আরও বাড়িয়ে দেয়। সে কারণে পরোক্ষ করের তুলনায় প্রত্যক্ষ করের (আয়কর) বেশি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।