ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের গাজীপুরের বৈঠক নিয়ে মত ও পথে প্রচারিত প্রতিবেদন আলোড়ন তুলেছে কূটনৈতিক পাড়ায়। প্রতিবেদন প্রচারের পর গত পাঁচদিন ধরে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তার মুখে মুখে। প্রতিবেদনটি সাড়া ফেলেছে সরকারের উচ্চমহলেও। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বক্তব্যও দিয়েছে। ‘নির্বাচনসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে সীমা লঙ্ঘন না করতে’ ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউনিয়নভুক্ত দেশের কূটনীতিকদের গাজীপুরের অভিজাত একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন প্রচার করে মত ও পথ। এর শিরোনাম ছিল ‘আলোচনায়, কৌতূহলে ইইউর রাষ্ট্রদূতদের গাজীপুরের বৈঠক’। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে চলমান প্রক্রিয়া, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইইউর ‘পর্যবেক্ষণসহ’ আরো কয়েকটি কারণে এ বৈঠকের বিষয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
‘নির্বাচনসহ দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে সীমা লঙ্ঘন না করতে’ ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকদের মন্তব্য পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে তাকে সতর্ক করা হবে। আমরা কখনোই চাইব না, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনো রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ হোক বা সে ধরনের কোনো মন্তব্য আসুক।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের আগ্রহ থাকতেই পারে। কিন্তু আগ্রহ থাকা আর লেকচার দেওয়া আলাদা জিনিস।’ দুই দেশের সম্পর্ক হুমকির মধ্যে পড়ে- এমন আচরণ না করারও পরামর্শ দেন পররাষ্ট্র সচিব।
প্রথমবার মতো ঢাকার বাইরে গাজীপুরে ‘চুপিসারে’ আয়োজিত ইইউর দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বৈঠকে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন, আইনের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন, কমিটির কার্যক্রম, গঠন হতে যাওয়া ইসি, বিএনপিসহ দলটির মিত্রদের রাষ্ট্রপতির সংলাপ ও অনুসন্ধান কমিটিকে ‘বর্জন’ ইত্যাদি আলোচনায় আসে। আসন্ন সংসদ নির্বাচন ও ইসি গঠন নিয়ে কয়েক মাস আগ থেকে প্রকাশ্যে মন্তব্য শুরু করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নির্দিষ্ট কয়েকটা দেশের কূটনীতিক।