ইউক্রেনে বেশ জোরেশোরেই হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। হামলা হয়েছে রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত ইউক্রেনের সামরিক সদর দপ্তরেও। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রতিবেশী এই দেশটিতে হামলার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর কিছু সময়ের মধ্যেই রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হানতে শুরু করে। কিয়েভের সামরিক সদর দপ্তরের পাশাপাশি হামলা হয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনীর মিসাইল কমান্ড সেন্টারগুলোতেও।
হামলার মুখে রাজধানী কিয়েভে জরুরি সাইরেন বাজায় কর্তৃপক্ষ। পরে আতঙ্কে শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন বহু মানুষ। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে মহাসড়কে পলায়নরত মানুষের গাড়ির স্রোত ও জট দেখা যায়।
রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার এই আক্রমণের মুখে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক ফুঁটে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। অনেকেই সেখানে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার খোঁজে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে, এমনকি বাড়ির বেজমেন্টেও অবস্থান নিয়েছেন।
টেলিভিশন ফুটেজেও মানুষকে দলবেঁধে রাস্তায় প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এছাড়া কিয়েভ থেকে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, রাজধানীর রাস্তায় খুব কম মানুষের দেখা মিলছে এবং বহু মানুষ টাকা তোলার মেশিনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনে হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে রাশিয়াও। তবে ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলার কথা অস্বীকার করেছে দেশটি। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো ও স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বার্তাসংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, কোনো ইউক্রেনীয় শহরে হামলা চালানো হচ্ছে না। নির্ভুলভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম অত্যাধুনিক সব অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিমান বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করা হচ্ছে।