চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৮ রানের দাপুটে জয় নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ দল। এর আগে প্রথম ম্যাচে আফিফ-মিরাজ নৈপূণ্যে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছিল রাসেল ডোমিঙ্গোর শিষ্যরা।
পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১ রান করে রান আউট হন আফগান ওপেনার রিয়াজ হাসান। পরের উইকেটে খেলতে নেমে মাত্র ৫ রান করেন দলনেতা হাশমতউল্লাহ শহিদি। আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেছেন ৯ রান।
মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর আফগানিস্তান দলের হয়ে মাঠে লড়ে যাচ্ছেন রহমত শাহ এবং নাজিবউল্লাহ জাদরান। এখন পর্যন্ত দুজন মিলে তুলেন ৮৯ রানের জুটি। দুজন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন।
এরপর নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে আসা টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের বলে ফেরেই এই দুই ব্যাটার। ওপেনার রহমত শাহ তাসকিনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৫২ রান। আর ৫৪ রানে কটবিহাইন্ড হন নাজিবউল্লাহ জাদরান। এছাড়া ৭ রানে রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং কিছুক্ষণ সংগ্রহ চালিয়ে ৩২ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নবি।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলনেতা তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতে ওপেনিং জুটিতে ৩৮ রান তুলেন তামিম-লিটন। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে আফগান পেসার ফজলহক ফারুকীর করা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তামিম। আউট হওয়ার আগে করেন ১২ রান।
দ্বিতীয় উইকেটের খেলতে নামা সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ২০ রানে রশিদ খানের বলে সাজঘরে ফেরেন।
তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন দলের উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গে নিয়ে আফগান বোলারদের রীতিমতো শাসন করতে থাকেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। এটি তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতরানের ইনিংস।
আউট হওয়ার পূর্বে ১৩৬ রান করেন লিটন দাস। ১২৬ বলে খেলা এই শৈল্পিক ইনিংসটি ১৬টি চার এবং দুটি ছয়ে সাজানো। এদিকে মাত্র ১৪ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি মুশফিক। তিনি থেমেছেন ৮৬ রানে। তার ইনিংসটি নয়টি চারে সাজানো। এদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১২ রানে এবং আফিফ হোসেন ১২ রানে অপরাজিত থাকেন।