ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস আজ। ১৯৭৬ সালে ১২টি থানায় মাত্র সাড়ে ছয় হাজার জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ডিএমপি। সময়ের বাস্তবতা ও প্রয়োজনে ডিএমপির কার্যপরিধি অনেক বিস্তৃত হয়েছে। বাড়তে থাকে নতুন নতুন অনেক ইউনিট। বর্তমানে পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট এটি। জঙ্গি দমনের জন্য এ ইউনিটের আওতাধীন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ডিএমপির মূলমন্ত্র হলো- ‘শান্তি শপথে বলীয়ান’। পুলিশের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে ডিএমপি জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং পেশাগত জ্ঞান অর্জনকে প্রাধান্য দিয়ে সৃজনশীলতা ও জনঅংশীদারিত্বকে অন্যতম কার্যকৌশল হিসেবে গ্রহণ করে বহুমাত্রিক এ নগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সচেষ্ট ডিএমপির সদস্যরা।
ডিএমপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডিএমপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরে শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নগরবাসীর যতটা প্রত্যাশা ছিল, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও হয়তো সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। তবে সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাত্র ৩২ হাজার পুলিশ সদস্য দিয়ে দুই কোটি নাগরিকের সেবা দেওয়া সম্ভব নয়। যদি নগরবাসী তথ্য দিয়ে সহায়তা করে তাহলে সম্ভব।
ডিএমপির ৪৭ বছরে বড় অর্জন প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, জঙ্গি দমন সবচেয়ে বড় অর্জন। কেননা জঙ্গি দমন নিয়ে কোথাও কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। তা ছাড়া খেলাসহ আন্তর্জাতিক যত ইভেন্ট হয়েছে, শৃঙ্খলার সঙ্গে সব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে পেরেছি। অপরাধ সংঘটিত হলে এর রহস্য উদঘাটনে আমাদের ৯০ শতাংশের বেশি সফলতা রয়েছে। ঘটনা ঘটার সপ্তাহখানেকের ভেতরেই আমরা এর রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি।
দিবসটি উপলক্ষে এক নাগরিক সম্মিলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনস-এ নাগরিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত হবে।