নির্বাচন কমিশন আ. লীগ সমর্থিত ও আমলা নির্ভর: জাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মুজিবুল হক চুন্নু

জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও আমলা নির্ভর। এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে বলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাদের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করবে তারা কতটা নিরপেক্ষ।

আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভা শেষে নির্বাচন কমিশন নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন চুন্নু।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি আবার বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জাতীয় পার্টি সবসময় বলে আসছে বাংলাদেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। গেলো ত্রিশ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই প্রমাণ করেছে কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছিলেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতির বিকল্প নেই। শুধু আনুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে এবং সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয় তাহলে কখনও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।

চুন্নু আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সময়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবেন। তারা নির্বাচন কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। কিন্তু না শুনলে কি হবে সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আমাদের দাবি ছিল, নির্বাচনকালীন কমিশনের কথা কেউ না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নিতে পারে সেই ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করতে হবে। সেই আইন সরকার করেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচনের বাকি আরও দুই বছর। নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো নির্বাচনে যাবো কিনা।

এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বনানী মিলনায়তনে বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে পার্টির প্রেসিডিয়ামের সভা অনুষ্ঠিত হয়

এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি প্রমুখ।

শেয়ার করুন