শপথের আলোকে যেন কাজ করতে পারি: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, শপথের আলোকে যেন কাজ করতে পারি, আপনাদের কাছে সেই দোয়া চাই। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কীভাবে দায়িত্ব পালন করবো সেটা বলতে পারবো না। আমরা আগামীকাল বসে কথাবার্তা বলে করণীয় ঠিক করবো।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের শপথ গ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় শপথ নেওয়া নতুন চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সিইসি বলেন, সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, আজকে আমরা শপথ গ্রহণ করেছি। শপথ গ্রহণ করার পরেই কিন্তু কার্যত আমরা পদে অধিষ্ঠিত হয়ে থাকি। এই মুহূর্তে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার। আমাদের উপর দায়িত্ব আরোপিত হয়ে গেছে। তারপরও আরেকটা সত্য যে এখনো আমাদের বাস্তব দায়িত্ব কর্মস্থলে গিয়ে গ্রহণ করিনি। আগামীকাল আমরা আমাদের কর্মস্থলে যাব। তারপর আমাদের সহকর্মীদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করবো।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের উপর কি কি দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে, সেগুলো জানবো। ভবিষ্যতে সে দায়িত্ব কীভাবে পালন করবো ঠিক এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। আগামীতে আমরা আরও জেনে বলতে পারবো।

‌ভোটারদের আস্থা ফেরাতে কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি আর বেশি কিছু বলবো না। গতকালই আমি বেশ কিছু কথা বলে ফেলেছি। নতুন করে আমার আর কোনো বক্তব্য নেই।

‌‘নতুন যে বক্তব্য দেবো তা আমার যে সহকর্মীরা আছেন, তাদের সঙ্গে বসে ঐকমত্য পোষণ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, তখন আমরা আপনাদের সঙ্গে মত বিনিময় করতে পারবো।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনই একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের জীবনটাও একটা চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনও একটা চ্যালেঞ্জ। কোনো চ্যালেঞ্জকে ভয় পেলে হবে না। চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে হবে। আমরা আশা করি সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা… বাংলাদেশকে যে বলা হয় রিপাবলিক (প্রজাতন্ত্র) এবং গণতন্ত্র। কাজেই নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। সেটা লোকাল গভর্নমেন্টই হোক বা সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হোক। চ্যালেঞ্জ আছে কি না সেটা এখনো আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখি চ্যালেঞ্জ আছে কি না। যদি থাকে, তাহলে সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের কৌশল নির্ধারণ করবো।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন করে না। নির্বাচন একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে অনেকেই জড়িত। সবাই যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় আমরা আশাবাদী, আমি যে সহকর্মী পেয়েছি, সবাই মিলে আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।

শেয়ার করুন