গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নতুন মিত্র ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ছিলেন সরাসরি সম্পৃক্ত। দলটির নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে এক সারিতে থেকে একই সুরে কথা বলেন প্রতিনিয়ত। এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবেও পরিচিত তিনি। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিএনপির সঙ্গে থাকলেও তার সঙ্গে দলটির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনে প্রধান হিসেবে যিনি নিয়োগ পেয়েছেন তার নাম জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রস্তাবে সবার শেষে ছিল। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
নিজের প্রস্তাবিত নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে নতুন ইসিতে সহযোগিতা করতে বিএনপিসহ সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এরমধ্যেই এমন বক্তব্য দিলেন বিএনপি মহাসচিব। সোমবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকেই আমাকে বলছে ডা. জাফরুল্লাহ এই নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। তিনি সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাতে বিশ্বাস করি না। কারণ আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশনই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক দল, মিথ্যাবাদী ও অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশনের তালবাহানা আর মুলা দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না।