কোনো সমাধানে না পৌঁছেই শেষ হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার প্রথম দিনের শান্তিপূর্ণ বৈঠক। এখন তারা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন। প্রতিটি দেশই নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আরআইবি এ তথ্য জানায়।
বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন ও রাশিয়ার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভ্লাদিমির মাকেই। বৈঠকে তিনি দুই দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা পুরোপুরি নিরাপদ বোধ করতে পারেন।’ খবর রয়টার্সের।
সোমবার পঞ্চম দিনের মতো কিয়েভ ছাড়াও ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর চেরনিহিভ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে রাশিয়ার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর বেলারুশের গোমেল-এ আলোচনায় বসেন দুই দেশের নেতারা। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকোভ ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিকোলা তোচিৎসকি অংশ নেন। অন্যদিকে রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকসান্দার ফোমিন এবং বেলারুশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বোরিস গ্রিজলোভ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের আলোচনা চলার মধ্যেই খারকিভে রাশিয়ার রকেট হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এদিকে বৈঠকের আগে এক বিবৃতিতে ইউক্রেন জানায়, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার। তবে নিজেদের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মস্কো।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর এটি দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম আলোচনা। রোববার রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোতে পাঠানো বিবৃতিতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। আলোচনা করার জন্য মস্কো থেকে একটি প্রতিনিধিদল বেলারুশের গোমেল শহরে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পরে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে জানানো হয়, কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়া প্রিপিয়াত নদীর কাছে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে রুশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল।