ইউক্রেন সংকট ও পরাশক্তির খেলা

একেএম শামসুদ্দিন

ইউক্রেনে প্রথম সামরিক সরঞ্জাম পাঠাল পোল্যান্ড
ছবি : ইন্টারনেট

ইউরোপ-আমেরিকা কিংবা ন্যাটো সামরিক জোটের দেশগুলো ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি ঠিক, তবুও ইউক্রেন নিজেদের যা কিছু আছে সেই শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এতদিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনের পক্ষে তাদের সমর্থন আছে বললেও কার্যত বড় কোনো সামরিক সাহায্য দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেনি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে প্রবেশের চারদিন পর রাশিয়ার সেনাবাহিনী যখন রাজধানী কিয়েভ দখলের কাছাকাছি চলে এসেছে, তখন অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ মানবিক ও সামরিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়া যে গতিতে অগ্রসর হচ্ছে, এসব দেশের যুদ্ধ সরঞ্জামাদি পৌঁছানোর আগেই কিয়েভ দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এই মহাসংকটের সময় বন্ধু রাষ্ট্রের পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ায় ইউক্রেন একেবারেই অসহায় অবস্থায় পড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যেসব ইউরোপীয় রাষ্ট্রের প্ররোচনায় ইউক্রেন ন্যাটো সদস্য হওয়ার বাসনা ব্যক্ত করেছে, এ সংকটের সময় সেসব দেশের কাছে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আরও বেশি সাহায্য আশা করেছিলেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যে ২৭ জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তারা কেউ সাড়া দেননি।

২৫ ফেব্রুয়ারি জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আজ আমরা একা, আমাদের দেশকে রক্ষার জন্য লড়াই করছি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির এ ভাষণে তার দেশের অসহায়ত্বের চিত্রই যেন ফুটে উঠেছে।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যাপক কূটনৈতিক চেষ্টা করেছিলেন। বক্তৃতা ও বিবৃতিতেও বেশ সরব ছিলেন। রাশিয়ার আসন্ন সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ বেধেও গেল। তবে বাইডেন তার বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। এমনকি ইউক্রেনে অবস্থিত মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করতে কোনো মার্কিন সেনাও পাঠানো হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় অবস্থিত ‘নন্ পার্টিযান রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭২ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়। যদি নিতেই হয় তাহলে সে ভূমিকা হবে সীমিত আকারের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ তাদের নিজ দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ে বেশি চিন্তিত। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয়পক্ষের আইন-প্রণেতারাও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যস্ত। তাদের অনেকেই যুদ্ধ করতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠানোর বিরোধী।

তবে তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে একমত। ওদিকে বাইডেনকে আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয় মাথায় রেখে সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এই সংকটকে কেন্দ্র করে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়া কতটুকু যুক্তিসংগত হবে তাও বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র। আশির দশকে সোভিয়েত রাশিয়া যখন আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তখনো সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি। কাজেই ইউক্রেন পরিস্থিতিতেও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হবে না ধরে নেওয়া যায়।

বাইডেন এ রকম ইঙ্গিতও দিয়েছেন এরই মধ্যে। তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘ইউক্রেনে রুশ ও মার্কিন সেনারা পরস্পরের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে একটি বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করবে না। এখানে তো আমরা কোনো সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছি না। আমরা এখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি।’

পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে তা বিবেচনা করে সবার মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে কি? এর সরল উত্তর হচ্ছে, না। না বলার দুটো কারণ আছে। প্রথম কারণ টেকনিক্যাল, অপরটি হলো অর্থনৈতিক কারণ। টেকনিক্যাল কারণ হলো, ইউক্রেন ন্যাটো জোটের কোনো সদস্য রাষ্ট্র নয়। তারা ন্যাটো জোটে যোগদানের অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে মাত্র। অতএব ইউক্রেনের এই পরিস্থিতিতে নীতিগতভাবে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে পারছে না।

ন্যাটো জোটভুক্ত কোনো সদস্য রাষ্ট্র যদি আক্রান্ত হয়, তখন তাদের প্রতিরক্ষায় আর্টিকেল-৫ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নিতে পারবে। ন্যাটো সামরিক চুক্তির আর্টিকেল-৫-এ বলা আছে, যে কোনো সদস্য দেশের ওপর আক্রমণ সব দেশের ওপর আক্রমণ বলে গণ্য হবে এবং চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি দেশ আক্রান্ত দেশকে রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যেহেতু ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়, সুতরাং তাদের বেলায় সেরকম কোনো দায়ও তাদের নেই।

এখন তারা যা করতে পারে বা কেউ কেউ বর্তমানে যা করছে তা হলো, যুদ্ধ সরঞ্জামাদি দিয়ে সাহায্য করা বা রাশিয়া ও ইউক্রেনের আশপাশের ন্যাটো জোটভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে ভারী অস্ত্রসহ সৈন্য সমাবেশ ঘটানো। যদি রাশিয়া ন্যাটো জোটভুক্ত কোনো দেশে আক্রমণ করে, তখন সে যুদ্ধে তাদের জড়াতেই হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন সরাসরি যুদ্ধে জড়ানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও ইউরোপে মার্কিন সেনাদল পাঠাচ্ছেন। বিশেষ করে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ন্যাটো জোটভুক্ত দেশে সৈন্য মোতায়েন করছেন।

এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র কোনো অবস্থাতেই চাইবে না রাশিয়া শক্তি সঞ্চার করে ঠাণ্ডা যুদ্ধের যুগে ফিরে যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী তা বোঝার চেষ্টা করে চলেছে। অপরদিকে রাশিয়া চাচ্ছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত যেসব দেশ ন্যাটোভুক্ত, সেগুলো ন্যাটো জোট থেকে বেরিয়ে যাক। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর সেসব দেশ স্বাভাবিক কারণেই ভীত হয়ে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের আশ্বস্ত করতেই সেখানে সেনাদল মোতায়েন করার ব্যবস্থা করছে।

ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর সরাসরি যুদ্ধে না জড়ানোর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক কারণ। ইউরোপের অনেক দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার বাণিজ্যিক লেনদেন আছে। ইউরোপের বেশকিছু দেশ আছে, যেগুলো রাশিয়ার গ্যাস সরবহারের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে ফ্রান্স ও জার্মানি ৪০ শতাংশেরও বেশি রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ পেয়ে থাকে। এ কারণে এসব দেশকে তেমন একটা জোরালো ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

ইউক্রেনের অনুরোধ সত্ত্বেও জার্মানি অস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর জেরে রাশিয়ার ওপর তারা একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাজ্য রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ তিনজন ধনকুবেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুটি ব্যাংক ও পাঁচ ধনকুবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ২৭ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইইউর ব্যাংকগুলোতে রাখা রাশিয়ার তহবিল তারা আটকে দেবে। পশ্চিমা দেশের এত হুমকি-ধমকি রাশিয়ার অভিযানের অব্যাহত ধারাকে ব্যাহত করবে বলে মনে হয় না।

ইতঃপূর্বে সামান্য কারণেও রাশিয়ার ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, তাতে রাশিয়ার অর্থনীতিতে বিরাট কোনো ধস নামেনি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এত নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরও ইউক্রেনের ব্যাপারে রাশিয়া যে পিছু হটবে না, তা যুক্তরাষ্ট্র ভালো করেই জানে। রাশিয়াপন্থি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেই দেয়নি। অন্যদিকে, ব্রাজিল রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধে (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত) ব্রিক্স সংস্থায় যোগ দেওয়ায় ব্রাজিলের সরকার পরিবর্তন করে যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকানপন্থি সরকার বসিয়েছে।

ঠিক তেমনি রাশিয়াও পশ্চিমাঘেঁষা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পরিবর্তে রাশিয়ানপন্থি সরকারপ্রধান হিসাবে কাউকে বসাতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। রাশিয়ার নাকের ডগায় বসে ইউক্রেন পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করবে তা রাশিয়া সহ্য করবে কী করে? রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর বিভিন্ন প্যাকেজ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর পশ্চিমাদের দ্বিচারী চরিত্র সুস্পষ্ট হয়ে গেছে। ইইউর এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার দৃশ্য যখন টেলিভিশনে দেখাচ্ছিল, তখন মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে অন্যায়ভাবে ইরাকে আক্রমণ চালিয়ে দেশটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়েছিল, তখন এসব পশ্চিমা দেশ ও দেশের নাগরিকরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিলেন। ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ মন্ত্রে তারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। ‘কো-লেটারাল ড্যামেজে’র নামে লাখ লাখ ইরাকিকে সেদিন হত্যা করা হয়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাল্পনিক ‘উইপন অফ মাস ড্রিসট্রাকশন’ তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার পরও ইরাকের জনগণ তাদের ন্যায্য বিচার পায়নি।

বর্তমান সরকারকে সরিয়ে রুশপন্থি সরকার ক্ষমতায় বসানোর জন্যই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে বিশ্বের অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। ন্যাটো জোটে যোগদান থেকে বিরত থেকে বেলারুশের মতোই ইউক্রেনও একটি দুর্বল ও মস্কোনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত হোক, এটাই রাশিয়ার লক্ষ্য। ইউক্রেনের একেবারে পূর্ব প্রান্তের দুটি এলাকা-দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া।

এ দুটো অঞ্চল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে টিকে থাকুক এটাও রাশিয়ার পরিকল্পনার অংশ। উল্লেখ্য, দোনেস্কের রুশসমর্থিত নেতা ডেনিস পুশিলিন এবং লুহানস্কের অপর রুশ সমর্থিত নেতা লিওনিড পাসেচনিক ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের বিজয়কে স্বীকৃতি দেয়নি। এ দুই নেতাই তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা দুটি রুশ ফেডারেশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। মস্কোপন্থি এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সালেই এ দুটি এলাকার বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং রুশ সীমান্তবর্তী ওই এলাকাকে দোনেস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিএনআর) এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলএনআর) বলে ঘোষণা করেছিল। তবে এ দুটি এলাকা অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে পুরোপুরি রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল।

যুদ্ধের পাশাপাশি রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধানের চেষ্টাও এগিয়ে গেছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর ফোনালাপের পর এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনায় উপরে উল্লেখিত শর্ত দিতে পারে রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের পক্ষে এসব শর্ত মেনে নেওয়া কঠিন হবে বলেই মনে হয়। উভয়পক্ষ কিছুটা ছাড় দিয়ে শান্তির পথে হাঁটলে ভালো।

আর যদি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা না হয়, তাহলে মস্কো যে কোনো উপায়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করে সেখানে তাদের সমর্থক সরকারকে ক্ষমতায় বসাবে। যদি শেষ পর্যন্ত তা-ই হয়, তাহলে ইউক্রেনে রাশিয়া একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। যেমনটি ঘটেছিল আফগানিস্তান দখলের পর। পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে ইউক্রেনের জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। ইউক্রেনকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে রাশিয়ার দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের মতোই একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাবে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

শেয়ার করুন