‘সাধারণ মানুষ নয়, আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
‘মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে তিনগুণ, আয় চারগুণ’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা আব্বাস বলেন, ক্রয়ক্ষমতা আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এক জিনিস নয়। আপনার প্রথমে শিখতে হবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর ক্রয়ক্ষমতা এককথা নয়। যদি ক্রয়ক্ষমতা বেড়ে থাকে সেটা বেড়েছে আওয়ামী চামচাদের, আওয়ামী নেতাদের।
শুক্রবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে নেতাকর্মীদের স্লোগানে একাধিকবার মেজাজ হারান মির্জা আব্বাস। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে কিছুক্ষণের জন্য বক্তব্য বন্ধ করে দেন। অবশ্য বক্তব্যের শেষ মুহূর্তে তিনি তার এই বিরক্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সবাই একটি কারাগারে বন্দি হয়েছি। সাভারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমাবেশে গিয়েছিলেন, তার নামে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া বাকি রাখেন নাই। শুধু বৃদ্ধ বাবা-মা ছাড়া সবার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এরশাদের আমলে দমন-নিপীড়ন করে আন্দোলন বন্ধ করা যায়নি বরং সে আন্দোলনেই এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। জেলের তালা ভেঙে আমাদের মুক্ত করা হয়েছিল। মজনুকে আটক করেছেন তাতে আন্দোলন কমেনি কেউ ভয় পায়নি, বরং আন্দোলন বেড়েছে।
পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা রেশন পান- এ জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি গায়ে লাগে না। আপনারা কি বলতে পারবেন যে আপনার আত্মীয়-স্বজন যারা রয়েছেন তারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ভুক্তভোগী নয়? বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষ ভুক্তভোগী। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আযাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।