চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। একই সঙ্গে সংস্থাটি উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নজর রাখারও পরামর্শ দিয়েছে। আইএমএফের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাকালে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন, করোনা মোকাবিলা করে রপ্তানি খাত ঘুরে দাঁড়ানো এবং সহায়ক মুদ্রা ও রাজস্বনীতির বদৌলতে বাংলাদেশ এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। বাংলাদেশ যেভাবে মহামারি মোকাবিলা করেছে তারও প্রশংসা করেছে আইএমএফ।
চলতি অর্থবছরে ভোক্তা মূল্যস্ফীতির গড় হার ৫ দশমিক ৯ শতাংশ দাঁড়াতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশেও মূল্যস্ফীতির হার বেশি থাকবে বলে জানায় আইএমএফ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের তাৎক্ষণিক উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এতে অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হবে। এ জন্য সামষ্টিক অর্থনীতির জন্য প্রযোজ্য নীতিমালাগুলোর সহায়তা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে মনে করে সংস্থাটি।
ঋণের মান নিশ্চিত করতে আইনি কাঠামোতে সংস্কার আনার সুপারিশও করেছে আইএমএফ। পাশাপাশি মুদ্রানীতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া, ঋণের বাজার স্বাভাবিক করতে ক্রমান্বয়ে সুদ হারের সীমা উঠিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে মুদ্রানীতির কাঠামো আধুনিকায়নের পাশাপাশি মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় রাখারও পরামর্শ দিয়েছে।
মহামারি মোকাবিলায় সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন ও অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধি করায় চলতি অর্থবছরে দেশের রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ দাঁড়াতে পারে বলে আইএমএফ প্রতিবেদনে বলা হয়।