দাম কমানোর সুবিধার্থে আগামী ৩ মাস ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট স্থগিত রাখার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
সোমবার ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী কোম্পানি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের এক মতবিনিময় সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।
মতবিনিময় সভায় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও সরবরাহকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিব অয়েলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, বাজেটে ভোজ্যতেলে ভ্যাট ধরা হয়েছিল ৯ টাকা, সরকার এখন প্রতি লিটারে ভ্যাট নিচ্ছে ২৭ থেকে ৩০ টাকা।
তারা বলছেন, বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধি এবং বাড়তি ভ্যাটের কারণে দেশেও বেশি দামে তেল বিক্রি করতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।
বিশ্ববাজারে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কথা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা গত বছর ও চলতি বছরে বেশ কয়েকবার সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তেলের দাম বাড়িয়ে নেন। সবশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়ানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় সে দাবি নাকচ করে। রমজানের আগে আর দাম বাড়ানো হবে না বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এরপর থেকেই বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির খবর এসেছে। অনেক বাজারে খোলা তেল উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ এসেছে। দেশের অনেক জায়গাতেই ২০০ টাকা লিটারেও তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ অবস্থার মধ্যে তিন মাস তেলের ওপর ভ্যাট স্থগিত রাখার দাবি জানালেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতারা।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেল পরিস্থিতিটি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে প্রতি টন তেলের দাম ১৮০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এটা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্যাট প্রত্যাহারের বিকল্প নেই। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্তত আগামী তিন মাসের জন্য আরোপিত ভ্যাট স্থগিত রাখা প্রয়োজন।’
এ ব্যাপারে সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।