ইসির সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু, ১৩ মার্চ বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিইসি হাবিবুল আউয়াল (মাঝে), রাশিদা সুলতানা (বামে ওপরে), আহসান হাবীব (ডানে ওপরে) খান, মো. আলমগীর (বামে নিচে) ও আনিছুর রহমান (ডানে নিচে)।

দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর প্রথম সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্তত ৫০ জন বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে এই সংলাপ হতে পারে আগামী ১৩ মার্চ। এদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ইতোমধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করেছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, সংলাপের প্রথম প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। প্রথম দফার মতবিনিময়ে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বসা হবে। পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের নিয়েও সংলাপ হবে। মূলত নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের পরামর্শ নিতেই কমিশনের এই উদ্যোগ।

universel cardiac hospital

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ১৩ মার্চ বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে। মূলত নির্বাচন নিয়ে তাদের বিভিন্ন পরামর্শ উঠে আসবে।

অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা ৫০ জনকে নিয়ে বসার চিন্তা আছে, সম্ভাব্য যতজনকে পাওয়া যায়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপে বসার পরিকল্পনা রয়েছে। সামনে রোজা চলে আসছে। এর আগে খুব বেশি করা যাবে না। ঈদের পরে সবার সঙ্গে বসা হবে।

দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নবগঠিত নির্বাচন কমিশন রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসে। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা এটিএম শামছুল হুদা কমিশন মেয়াদকালে দুবার সংলাপে বসেছিলেন। এছাড়া দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবুদ্দীন আহমেদ কমিশনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল।

সদ্যবিদায়ী কে এম নূরুল হুদা কমিশনও সংলাপ করেছিলেন নির্বাচনী অংশীজনদের নিয়ে। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি আর কোনো কমিশন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ফুরোনোর পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেওয়ার পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করে নবগঠিত এই কমিশন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সমঝোতা’র কথা বলেন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর মুরুব্বি হতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পলিটিক্যাল লিডারশিপে যদি নূন্যতম সমঝোতা না থাকে, আমি তো তাদের মুরব্বী হতে পারব না। উনারা আমাদের থেকে অনেক বেশি জ্ঞানী, অভিজ্ঞ। আমরা তাদের কাছে অনুনয়-বিনয় করব আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করেন। একটা চুক্তিবদ্ধ হন যে, আপনারা সুন্দরভাবে নির্বাচনটা করবেন। ওখানে সহিংসতা হবে না, কেউ কাউকে বাধা দেবে না।

শেয়ার করুন