নিয়ন্ত্রকমূলক ব্যবস্থার পর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির কোনো শেয়ারের দাম নির্দিষ্ট দিনে দুই শতাংশের কমে কেনাবেচা হতে পারবে না- এমন সিদ্ধান্ত কার্যকরের প্রথম দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার।

আজ বুধবার লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা শেষে দুপুর ১২টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে ৩২৮টির দর বেড়েছে। বিপরীতে ২২টি দর হারিয়ে এবং ২৫টির দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।

অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬৫৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। সূচক বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে দিনে লেনদেনের শুরুতে সূচক বৃদ্ধির হার আরও বেশি ছিল। সকাল ১০টা ৪১ মিনিটে সূচকটি গতকালের তুলনায় ১০৯ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছিল।

অব্যাহত দরপতনের প্রেক্ষাপটে পতন ঠেকাতে সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম খানিকটা পরিবর্তন করায় শেয়ার দরের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।

গত বছরের ৭ এপ্রিল শিশুটি কোম্পানির শেয়ারের ফোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর সেগুলোর বড় দরপতন শুরু হয়েছিল। ওই দরপতন ঠেকাতে চার দিন পর ১১ এপ্রিল শেয়ারের নিচের সার্কিট সার্কিট বেকার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ বেঁধে দিয়েছিল বিএসইসি। তবে এ দুই মাস পরে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছিল।

মঙ্গলবার লেনদেন চলাকালীন সময়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে দরপতন ঠেকাতে মৌখিকভাবে সার্কিট ব্রেকার নিয়ন্ত্রণ আরোপের খবরটি প্রচারের পর চলতি দরপতন বন্ধ হয়। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এও বলে দিয়েছে, এ বছরই ব্যবস্থাটি সাময়িক সময়ের জন্য।

গতকাল লেনদেনের শুরুতে ডিএসইএক্স সূচক ১৩৮ পয়েন্ট পতনের পর এ খবরটি প্রচার হলে শেষ পর্যন্ত ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছিল।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের শুরু হয়। ওই দিন থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত মোট আট কার্যদিবসের ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছিল ৪৯২ পয়েন্ট। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আগে থেকেই এই চলতি দরপতনের ধারায় শুরু হয়েছিল।

বড় এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয়তায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দরপতন শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সূচকের পতন হয়েছিল ৬৩৩ পয়েন্ট।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত ডিএসইতে মোট ৩১০ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।

শেয়ার করুন