ন্যাটো রাশিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় পায় : জেলেনস্কি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : ইন্টারনেট

সামরিক জোট ন্যাটো রাশিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, সামরিক জোটটি বিতর্কিত বিষয়গুলো এবং রাশিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় পায়।

সোমবার রাতে দোভাষীর মাধ্যমে এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আপসের’ ব্যাপারে প্রস্তুত আছেন জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনকে জোটে নিতে প্রস্তুত নয় সামরিক জোট ন্যাটো। তাই তিনিও আর জোটের সদস্য পদ পেতে জোরাজুরি করবেন না।

তিনি বলেন, ন্যাটো ইউক্রেনকে জোটে নেবে কিনা এই প্রশ্নে আমরা আগেই বুঝতে পেরেছি যে, তারা আমাদেরকে জোটে নিতে প্রস্তুত নয়। আর এই বিষয়টি বুঝার পর আমি দমে গেছি।

ন্যাটোর সদস্য পদের বিষয়টি ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এমন দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চান না, যে দেশ কোনো কিছুর জন্য হাঁটু গেরে ভিক্ষা চায়।

স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপকে রক্ষা করতে সামরিক জোট ন্যাটো গঠন করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়েছে ন্যাটো। যা ক্রেমলিনকে ক্ষুব্ধ করেছে। রাশিয়া বলেছে, তারা চায় না তাদের প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিক। রাশিয়া তার নাক বরাবর ন্যাটোর এই সামরিক তৎপরতাকে হুমকি হিসেবে দেখছে।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর তিন দিন আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এলাকা দুটি রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পুতিন এখন চাচ্ছেন ইউক্রেনও অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিক। এক প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন। জেলেনস্কি বলেন, আমি নিরাপত্তার নিশ্চয়তার কথা বলছি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই দুটি অঞ্চলকে রাশিয়া ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি। তবে তারা এ বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। এই অঞ্চল দুটি কীভাবে থাকবে, সে বিষয়ে সমঝোতার উপায় খুঁজতে পারেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো ওই দুই অঞ্চলের সেসব মানুষ যারা ইউক্রেনের অংশ হতে চায় তারা কীভাবে থাকবে এবং ইউক্রেনের যারা ওই অঞ্চলের মানুষকে ইউক্রেনের মধ্যে আনতে চায় তারা কীভাবে থাকবে। তাই তাদেরকে স্বীকৃতির প্রশ্নটি সহজ না, কঠিন।

শেয়ার করুন