ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সকাল ৮টায় উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, পাঞ্জাব ও গোয়ায় ভোটগণনা শুরু হয়। বেশ কয়েক দফায় এই ভোটগণনা হবে এবং প্রাথমিক ফলাফলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ও পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলের ক্ষমতাসীন হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে ভোটগণনার শুরুতেই প্রথমে পোস্টাল ব্যালট খোলা হয়। এরপর শুরু হয় ইভিএম মেশিনের ভোটগণনা। গণনা প্রক্রিয়া শেষ হতে বিকেল হয়ে যেতে পারে।
ভারতের এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে দেশটির রাজনৈতিক মহল। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশের ফল ভারতের জাতীয় রাজনীতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী দুপুর ১টা পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি ২৬৭টি আসনে, সমাজবাদী পার্টি ১২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৪০৩ আসনের এই রাজ্যে ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন ২০২টি আসন। সেই হিসেবে রাজ্যটিতে ফের বিজেপির ক্ষমতাসীন হওয়ার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত।
অন্যদিকে পাঞ্জাবে ঝড় তুলেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি (এএপি)। ১১৭ আসনের এই রাজ্যটিতে এএপি এখন পর্যন্ত ৯০টিতে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া কংগ্রেস ১৮টি আসনে, আকালি দল ৬টি এবং বিজেপি ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পাঞ্জাবে এই রাজ্যটিতে ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন ৫৯টি আসনে জয়।
উত্তরপ্রদেশের মতো উত্তরাখণ্ড রাজ্যেও বিজেপি ঝড় উঠেছে। ৭০ আসনের এই রাজ্যটিতে বিজেপি এখন পর্যন্ত ৪২টিতে এবং কংগ্রেস ২৪টিতে এগিয়ে আছে। ক্ষমতায় যেতে রাজ্যটিতে ৩৬টি আসনে জয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এদিকে গোয়া রাজ্যেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। ৪০ আসন বিশিষ্ট এই রাজ্যটিতে বিজেপি এখন পর্যন্ত ১৯টিতে, কংগ্রেস ১১টিতে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস ৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। রাজ্যটিতে কোনো দল বা জোটকে ক্ষমতায় যেতে হলে কমপক্ষে ২১টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে। সেই হিসেবে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও অন্য দলগুলোর সমন্বয়ে জোট সরকারের সম্ভাবনাও বাতিল করা যায় না।
এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মনিপুর রাজ্যেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৬০ আসন বিশিষ্ট এই রাজ্যটিতে ক্ষমতায় যেতে প্রয়োজন ৩১টি আসনে জয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজ্যটিতে বিজেপি ২৭টি আসনে, এনপিপি ৯ এবং কংগ্রেস ৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।