ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের কাউন্সিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কামাল হোসেনের অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ অন্তপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে একপক্ষকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়।
গণফোরামের কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির বিদ্যমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর একটি অংশ শনিবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে কাউন্সিলের আয়োজন করে। মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অপরাংশ প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
জানা যায়, সকাল সোয়া ১০টার দিকে ড. কামাল হোসেনের অংশের গণফোরাম কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অপরাংশের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে কাউন্সিলে হামলা করে। তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি কাউন্সিলে আসা নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা করে।
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর অনুসারীরা জানান, মেকাব্বির খানসহ এই অংশের নেতাকর্মীরা সরকারের দালাল। তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গণফোরামকে বিভক্ত করেছে। এজন্য তারা মোকাব্বির খানকে ধাওয়া দিয়ে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। তাকে রক্ষার জন্য যারা এগিয়ে আসেন তাদেরও পেটানো হয়। হামলার সময়ে মন্টুর অংশের নেতা অ্যাডভোকেট মোহসীন রশীদকে দেখা গেছে।
তবে ঘটনার সময় উভয় গ্রুপের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কিংবা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চোধুরী কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
হামলার বিষয়ে মোকাব্বির খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলের আয়োজন করেছি। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী কাউন্সিলে হামলা করে আমাকেসহ আরও অনেককে আহত করেছে। এটা গণতন্ত্রের ওপর হামলা। গণফোরাম থেকে বহিস্কৃতরা এ হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।