ইউক্রেন থেকে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের মরদেহ শুক্রবার রাতে রোমানিয়ায় পৌঁছেছে। সর্বশেষ খবর মতে, তার মরদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য বর্তমানে রোমানিয়ার বুখারেস্টে ফ্লাইটের অপেক্ষায় রয়েছে। রোববার (১৩ মার্চ) তার মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) সকালে মত ও পথকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর হাদিসুরের মরদেহ রোমানিয়ায় পৌঁছায়। রোববার তার্কিশ এয়ারলাইন্সে করে হাদিসুরের মরদেহ দেশে আনা হবে। রোববার রাত ৮টার দিকে মরদেহ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। শনিবার দিনগত রাতে ফ্লাইট সিডিউল রয়েছে। তবে রোমানিয়া থেকে ফ্লাইটটি কখন ছেড়ে আসবে তার নির্ধারিত সময় জানাতে পারেননি তিনি।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ মলদোভার উদ্দেশে ইউক্রেন থেকে রওনা হয়। এরপর মালদোভা থেকে তার লাশ রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ২ মার্চ রাত ৯টা ২৫ মিনিটে জাহাজটি হামলার শিকার হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন।
জাহাজে ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। জীবিত ২৮ নাবিক এবং নিহত হাদিসুরের মরদেহ ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে জীবিতদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৯ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে তারা দেশে ফিরেছেন। হাদিসুরের মরদেহ এখন দেশে আসার পথে।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য বাংলার সমৃদ্ধি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি জাহাজটি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অলভিয়া বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জাহাজে হামলার পর জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।