গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। তার মূল কারণ ছিল দুঃশাসন ও মিস ম্যানেজমেন্ট বা অব্যবস্থাপনা। আজকে ফের সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রয়াত আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নোবেলবিজয়ী অমর্ত্য সেন লিখেছেন, ‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষের বছর দেশে সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। তারপরেও না খেয়ে তিন লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন।’ মানুষ এখন অনাহারে মারা যাচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু অর্ধাহারে আছে, অপুষ্টিতে আছে। আজকে যদি টিসিবির লাইনটা দেখি, আগে দেখতাম টিসিবিতে নিম্নবিত্ত কিছু মানুষ আসতেন। এখন মধ্যবিত্ত ঘরের কর্তাও লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্মরণসভায় আ স ম আব্দুর রব বলেন, যেদিন জনগণের অধিকার আদায় হবে, ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, সেদিনই মওদুদ ভাইয়ের প্রতি আমাদের সত্যিকার শ্রদ্ধা জানানো হবে।
তিনি বলেন, আপনি গুম করতে পারেন, মানুষকে হত্যা করতে পারেন। কিন্তু ইতিহাসকে হত্যা করতে পারবেন না। আজকে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ না খেয়ে আছে। সরকার এসব চোখে দেখে না, তারা অন্ধ। মানুষের হাহাকার শোনে না। গরিবদের দেখে না, নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের দেখে না। সরকারের মাথা ব্যথা নেই।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ ছিলেন একজন স্পষ্টভাষী ও চমৎকার লেখক। তিনি নিজের কথায় বিশ্বাস রাখতেন। অনেক নেতাদের দেখি, দলের সমালোচনা করতে পারেন না। এমনকি ইতিবাচক সমালোচনাও না। কিন্তু ব্যারিস্টার মওদুদের কথাবার্তায় অনেকেই সন্দেহে ভুগতেন, তিনি কোন দল করেন।
মওদুদ আহমেদের সহধর্মিণী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ বলেন, তিনি (মওদুদ) করোনায় মারা যাননি। তার অসুখ ধরা যায়নি। আমি শুনেছি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমাকেও হয়তো কেউ মেরে ফেলবে।
তিনি বলেন, মওদুদ সাহেবের শূন্য স্থান আমি শূন্য হতে দেব না। আমি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। আমি নোয়াখালী-৫ আসনের গরিব মানুষের পাশে থাকবো। আমি চেষ্টা করবো, মওদুদ যেভাবে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে গেছেন, সেইভাবে কাজ করার।