গতানুগতিক দলীয় কর্মসূচির পরিবর্তন চান বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অনেকে। তাদের মতে, সরকার পতন চাইলে হরতাল, অবরোধ ও অবস্থানের মতো সর্বাত্মক কর্মসূচি নিয়ে ভাবা উচিত দলের নীতি নির্ধারকদের। কেউ কেউ আবার বলছেন, নেতৃত্বের সমন্বয়হীনতা নিয়ে কখনোই দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই সভা-সমাবেশ আর মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকলেও আন্দোলন বেগবান করতে পারছে না বিএনপি। তাই এগুলোকে আর দাবি আদায়ে যথার্থ মনে করছেন না দলটির অনেক শীর্ষনেতা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকার পতনের জন্য কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে বিএনপিকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে, রেলওয়েতে অবরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সরকার পতনের একদফা আদায়ে তাই কঠোর কর্মসূচির দাবি জোরালো হয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের মাঝে। দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সময় হয়েছে।’
বিএনপির তৃণমূল নেতারাও বলেন, কঠোর আন্দোলনের জন্য মুখিয়ে আছেন তারাও। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, ‘বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এগুলো দুর করতে হবে।’ আরেক নেতার মতে, ‘এসব প্রস্তুতি অবধারিতভাবেই হোঁচট খাবে, যদি আন্দোলনের সামনের সারিতে যোগ্যরা না থাকেন।’