দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথমবার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিয়ানে ৩৮ রানের জয় দিয়ে ২০ বছরের সফরের খরা কাটিয়েছে টাইগাররা। প্রোটিয়াদের হারাতে সামর্থ্যের শতভাগ দিতে হয়েছে টাইগারদের। নিজ ডেরায় ডুসেন-ডেভিড মিলারদের সেরাটার ৮০-৯০ ভাগ দিয়ে হারানো যায় না সেটাও প্রমাণিত হয়েছে।
টস পক্ষে যায়নি বাংলাদেশ দলের। দক্ষিণ আফ্রিকায় শুরুতে ব্যাট করা বরাবরই কঠিন। তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ওই ফাঁড়া কাটান। সাকিব-ইয়াসির দুর্দান্ত জুটি গড়েন। স্লগে ছোট ছোট রান এনে দিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন ও মেহেদি মিরাজ।
তাদের ব্যাটে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩১৪ রান তোলে। বল হাতে নিয়েছে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট। এমন ম্যাচে সেরা ক্রিকেটার নির্ধারণ করা একটু কঠিন। বল হাতে উইকেট না পেলেও ৭৭ রান করা সাকিবকে দেওয়া হয়েছে ম্যাচ সেরা।
অথচ এক ওভারে জোড়া আঘাত, সেঞ্চুরির পথে থাকা ডুসেনকে ফিরিয়ে তাসকিন হতে পারতেন ম্যাচ সেরা। ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে প্রোটিয়াদের ত্রস্ত রাখেন তিনি। মেহেদি মিরাজের কথা বলতে হবে। তিনি ম্যাচের ‘খলনায়ক’ হতে চলেছিলেন। সেখান থেকে এক স্পেলে ৪ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়াদের লোয়ার অর্ডার।
এমনকি ইয়াসির রাব্বিও ম্যাচ সেরা হওয়ার মতো পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নেমে ৪৪ বলে ৫০ রান করেছেন। ডুসেনের দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নিয়েছেন। ওই ক্যাচেই বদলে গেছে ম্যাচ। জয়ের পরে তামিম তাই দলের সকলের কৃতিত্ব দিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার চোখে ম্যাচ সেরা মিরাজ। ওই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। ও আমার কাছে এসে বলেছিল, “বোলিং দেন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেব।” পরেই অধিনায়ক বলেন, ‘পেসারদের কথা বলতে হবে। তারাই আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে।’ ইয়াসির রাব্বির প্রশংসা তো করলেনই। ঐতিহাসিক এমন জয়ে ম্যাচ সেরা নয় সব আলো ঠিকরে পড়ে টিম পারফরম্যান্সে। আরেকবার প্রমাণ করল টাইগাররা।