রোজার আগে রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস

রেমিট্যান্স
ফাইল ছবি

কিছু দিন পর রমজান মাস শুরু। দেড় মাস পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফেব্রুয়ারি মাসে ভাটার পর রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে গতি ফিরেছে রেমিট্যান্স প্রবাহে। চলতি মার্চ মাসের ১৭ দিনেই ১০০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সামান্য বাড়লেও ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

universel cardiac hospital

মার্চ মাসের ১ থেকে ১৭ তারিখ পযন্ত ১০৩ কোটি ২০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই গতিতে রেমিট্যান্স এলে মাস শেষে ২০০ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সামনে রমজান ও দুটি ঈদ উৎসব আছে। সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসীরা দেশে বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠান।’ আগামী দিনগুলোতে রেমিট্যান্স বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চের ১৭ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ১৮ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

এদিকে ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন দেখা যায়। ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

তবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান শুরু হয়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।

শেয়ার করুন