হেফাজত নেতা মুফতি ইজাহারুলের দুই বছরের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

সম্পদের হিসাব জমা দিতে না পেরে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে গেলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম। সম্পদের বিবরণী জমা না দেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় (৪৯/২০১৩) তার বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। আজ রোববার (২০ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

হেফাজত নেতা ইজাহারুল ইসলাম চট্টগ্রামের লালখান বাজারের আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। তার উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতের হাজির থাকা ইজাহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।

দুদকের স্পেশাল পিপি কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় মুফতি ইজাহারের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় দোষী সাবস্ত হওয়ায় তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এই জরিমানা দিতে না পারলে তাকে আরও দুই মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১৭ জুন সম্পদের হিসাব চেয়ে ইজাহারুল ইসলামকে নোটিস দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই বছর ২৮ জুলাই ইজাহারুল ইসলামের বরাবর নোটিস পাঠায় দুদক। এতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সাত কার্যদিবস অর্থাৎ ওই বছরের ৭ আগস্টের মধ্যে সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় দুদক চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক সিরাজুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর ইজাহারুলের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদকের বর্তমান উপপরিচালক এইচ এম আকতারুজ্জামান মামলাটির তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল অভিযোগপত্র গ্রহণের পর তার বিচার শুরু হয়। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ২০২২ সালের ২০ মার্চ মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে এ রায় দেন।

শেয়ার করুন