পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন, দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সংগৃহীত ছবি

পটুয়াখালীতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন ঘোষণা করে তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন।

এর আগে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর কোল জেটিতে ২০০ নৌকা থেকে পতাকা নাড়িয়ে ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানানো হয়।

universel cardiac hospital

হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন। বেলা ১১টা ৪৬ মিনিটে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এরপর তা উদ্বোধন করেন। এ সময় এক হাজার ৩২০টি পায়রা ওড়ানো হয়।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মানুষের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসহ বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এছাড়া সাঁটানো হয়েছে ব্যানার-ফেস্টুন।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি (এনডব্লিউপিজিসিএল) ও চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিশ্বের ১১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে।

এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অর্ধেক মালিকানা বাংলাদেশের, বাকি অর্ধেক মালিকানা চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসিএল)।

২০২০ সালের ১৫ মে প্রথমে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাণিজ্যিকভাবে এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। পরে একই বছরের ৮ ডিসেম্বর আল্ট্রা সুপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বিতীয় ইউনিটের ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য ৫ থেকে ৭ ভাগ অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে, যাতে আশপাশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

প্রকল্পের ২য় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি এটি চালু হতে পারে।

শেয়ার করুন