সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে সহজেই নেপালকে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে দলটির বিপক্ষে আবারও মুখোমুখিতে অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়েছে। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও লাল-সবুজ দল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে হারিয়েছে নেপালকে।
বুধবার (২৩ মার্চ) ভারতের জামশেদপুরের টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেপাল। সতীর্থের পাস ধরে আক্রমণে ওঠা আমিশা কারকিকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। তাকে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন নেপালের ফরোয়ার্ড।
এক গোলে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ২০ মিনিটে কর্নারের পর উন্নতি খাতুনের দুটি শট প্রতিহত হয় রক্ষণে। ৩৬ মিনিটে বাংলাদেশের আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয়। এবার একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আকলিমা খাতুন গোলরক্ষক বরাবর শট নেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে শামসুন্নাহারের নেওয়া শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। ৬৫ মিনিটে সমতার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা শামসুন্নাহারের পাসে বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়েও আকলিমা খাতুন ও উন্নতির বদলি নামা হালিমা কেউই শট নিতে পারেননি।
পরের মিনিটেই অবশ্য কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে হেডে সমতা ফেরান অধিনায়ক শামসুন্নাহার।
৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। আনিকা তানজুমের ডান প্রান্তের ক্রসে সাজেদা আক্তার রিপার প্রথম প্রচেষ্টা গোলকিপার প্রতিহত করলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফিরতি বলে এই স্ট্রাইকার সহজেই বল জড়িয়ে দেন জালে।
শেষ পর্যন্ত নেপালের রক্ষণে আক্রমণের চাপ ধরে রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্য যে রিপার দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। ২-১ স্কোরলাইনে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলকে।
এই জয়ে টুর্নামেন্টে শিরোপা স্বপ্ন টিকে রইলো বাংলাদেশের। যদিও তা কঠিন। ভারত তিন ম্যাচে ৯ ও সমান ম্যাচে বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। নেপাল ঝুলিতে কোনও পয়েন্ট যোগ না করেই বিদায় নিয়েছে। আগামী শুক্রবার ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে আবারও বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে শামসুন্নাহাররা জিতলেও তাকিয়ে থাকতে হবে গোল পার্থক্যের দিকে।